তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বোলিং নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল। কেননা ৩৮ ওভারের মধ্যেই দলের পাঁচ বোলারের দু’জন সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ দশ ওভারের কোটা পূরন করে ফেলেন।
শেষ ১২ ওভারের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলামের বাকি ছিল ৭ ওভার। তাহলে বাকি ৫ ওভার করবে কে? এই পাঁচ ওভার বরাদ্দ ছিল পঞ্চম বোলার মেহেদি হাসান মিরাজের জন্য। কিন্তু মিরাজকে কোন দুঃখে বল দিতে যাবেন তামিম?
নিজের প্রথম ৪ ওভারেই ৩৮ রান খরচ করে ফেলেছিলেন এই অফস্পিনার।। যে কারণে পরের ওভারগুলোতে তাকে বল দিতে সংশয়ে ভুগেন তামিম। অধিনায়কের সংশয় দূর করতে নিজেই এগিয়ে যান মিরাজ । মার খেলেও নিজের উপর থেকে আত্মবিশ্বাস হারাননি।
তাতে প্রথম ৪ ওভারে ৩৮ রান দেওয়া মিরাজ পরের টানা পাঁচ ওভারে রান দিলেন মাত্র ২৩, বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে ছেঁটে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপের শেষভাগ। এর মধ্যে আবার ছিলেন ‘বিগ ফিশ’ ডেভিড মিলারও। যিনি ক্রমেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছিলেন।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মিরাজকে দ্বিতীয় স্পেলে বল দেয়া নিয়ে তামিম জানান, প্রথম ৪ ওভারে ৪০ রান দেওয়ার পরেও আত্মবিশ্বাস ছিল মিরাজের। যে কারণে ম্যাচের অমন মুহূর্তে নিজ থেকেই বোলিং চেয়ে নেন মিরাজ। মিরাজের বিশ্বাস ছিল সে পারবে।
তামিম বলেন, ‘প্রতিটি দলেই মেহেদির মতো একজন থাকা দরকার। চার ওভারে ৪০ রান (আসলে ৩৮) দেয়ার পর সে এসে বললো, ‘আমাকে বলটা দেন, আমি ম্যাচ ঘুরিয়ে দিবো’। সে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল। এটি একজন অধিনায়কের কাজ সহজ করে দেয়, যখন খেলোয়াড়রা আত্মবিশ্বাসী থাকে।’
তামিম আরও জানান, তার চোখে মিরাজও আজকের ম্যাচের ম্যান অব দ্য ম্যাচ। তিনি বলেন, ‘আমি খুব খুশি যে আত্মবিশ্বাসটা মিরাজের মধ্যে আছে। এমন চাপের মধ্যে ডানহাতি ব্যাটারের সামনে ছোট বাউন্ডারিতে বোলিং করা, উইকেট এনে দেওয়া... আমার মতে, সেও আমার ম্যান অব দ্য ম্যাচ।’
এমন জয়ে দলের সবাইকে কৃতিত্ব দিতে ভুললেন না তামিম। তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য বড় জয়। দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুবই খুশি। ইয়াসিরের (রাব্বি) ইনিংসটা সত্যিই বিশেষ কিছু ছিল। ব্যাট হাতে মেহেদি থেকে শুরু করে মাহমুদউল্লাহ - সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন তাসকিন-শরিফুলরা। পেসারদের নিয়েও প্রশংসা ঝরে পড়লো তামিমের কন্ঠে, ‘এটা আমাদের জন্য একটা বড় বিষয় যে, আমাদের ফাস্ট বোলাররা ভালো করছে এবং ম্যাচ জিতিয়েছে। গত দুই বছর ধরেই ফাস্ট বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করেছে।’
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি