প্রথম ম্যাচ জিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলো লঙ্কানরা। কিন্তু পরের ম্যাচেই ঘটে গেলো অঘটন। শানাকার সেঞ্চুরির পরও ঘরের মাটিতে জিম্বাবুয়ের কাছে হেরে গেলো শ্রীলঙ্কা। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ২২ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ এ সমতায় এনেছে সফরকারি জিম্বাবুয়ে।
পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রাইগ আরভিন। ব্যাটিংয়ে নেমে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিতে শুরু করেন দুই ওপেনার তাকুদজওয়ানাশে কাইতানো ও রেজিস চাকাভা। উদ্বোধনী জুটিতেই দু’জন মিলে তুলে ফেলেন ৫৯ রান।
২৮ বলে ২৬ রান করে কাইতানো আউট হলে উইকেটে আসেন অধিনায়ক ক্রাইগ আরভিন। আরভিনের সাথে ছোট একটা জুটি গড়ে ৫০ বলে ৪৭ রান করে আউট হন চাকাভা। এরপর আরভিনের সাথে জুটি বাঁধেন অভিজ্ঞ ব্যাটার শন উইলিয়ামস।
এই দু’জনের ১০৬ রানের জুটিতেই বড় সংগ্রহের ভীত গড়ে জিম্বাবুয়ে। ফিফটির খানিক আগে ৫৬ বলে ৪৮ রান করে উইলিয়ামস আউট হলে ভাঙে এই জুটি। সেঞ্চুরির দিকে আগাছিলেন আরভিন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার। ৯৮ বলে ১০ বাউন্ডারিতে ৯১ রান করে মহেশ থিকসানার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনিও।
এরপর শেষ দিকে সিকান্দার রাজার ঝড়ো ফিফটিতে ভর করে ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করাতে সক্ষম হয় জিম্বাবুয়ে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৫১ রানে ৩টি উইকেট নেন জেফ্রে ভেন্ডারসে। দুইটি উইকেট শিকার করেন পেসার নুয়ান প্রদীপ।
৩০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জিম্বাবুয়ের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে লঙ্কান ব্যাটাররা। ৬৩ রানেই শ্রীলঙ্কার ৪ উইকেট গায়েব! সেখান থেকে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক দাসুন শানাকা। স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে পাল্টা আক্রমণ করে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন কামিন্দু মেন্ডিস (৫৭) এবং চামিকা করুনারত্নে (৩৪)।
সেঞ্চুরির পরপরই ম্যাচের ৫ ওভার বাকি থাকতে টেন্ডাই চাতারার বলে ফিরে যান শানাকা। মূলত সেখানেই শেষ হয়ে যায় লঙ্কানদের জয়ের আশা। শানাকা করেন ৯৪ বলে ১০২ রান। শেষপর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮০ রানে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের পক্ষে ৩ উইকেট করে নিয়েছেন টেন্ডাই চাতারা ও ব্লেসিং মুজারাবানি। ৯১ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরস্কারটি হাতে উঠেছে ক্রেইগ আরভিনের।
স্পোর্টসমেইল২৪/এএইচবি
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]