দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছে বাংলোদেশ। লঙ্কারদের বিপক্ষে এবার টাইগারদের লক্ষ্য হোয়াইটওয়াশ। সেই পথে লক্ষ্যটাও সাধ্যের মধ্যেই পেল বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় পেতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়ে ২৮৭ রান।
শুক্রবার (২৮ মে) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট ২৮৬ রান সংগ্রহ করেছে শ্রীলঙ্কা।
দলের পক্ষে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি (১২০ রান) হাঁকিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ৯ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৪টি উইকেট।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হাতছাড়া হওয়ায় হোয়াইটওয়াশ এড়াতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে চারটি পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে তিনজনেরই অভিষেক ঘটে। আর বাংলাদেশের একাদশে পরিবর্তন দু’টি। ওপেনার লিটন দাসের পরিবর্তে মোহাম্মদ নাঈম এবং মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের জায়গায় তাসকিন আহমেদ একাদশে সুযোগ পান।
প্রথম দুই ম্যাচে টস ভাগ্যে হারে শ্রীলঙ্কা। তবে আজ শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অবশেষে টস লড়াইয়ে জয় পেয়ে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্বান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক পেরেরা।
টস জিতে দানুশকা গুনাতিলকাকে নিয়ে প্রথম ওভার থেকেই মারমুখী মেজাজে পেরেরা। পাওয়ার-প্লেতে ৭৭ রান তুলে ফেলেন তারা। বাংলাদেশ বোলারদের কোন রকম সুযোগ না দিয়ে দু’জনই সমান ৩৮ রান করে তুলেন।
পাওয়া-প্লেতে অবিচ্ছিন্ন থাকায় আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন গুনাতিলকা-পেরেরা। ১২তম ওভারে তাদের আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরান বাংলাদেশের পেসার তাসকিন। ঐ ওভারের দ্বিতীয় বলে গুনাতিলকার উইকেট উপড়ে ফেলেন তিনি। দলীয় ৮২ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ৩৩ বলে ৩৯ রান করেন গুনাতিলকা।
একই ওভারের শেষ বলে আবারও শ্রীলঙ্কাকে ধাক্কা দেন তাসকিন। তিন নম্বরে খেলতে নামা পাথুম নিশাংকাকে রানের খাতা খোলার আগে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তাসকিন। নিজের দ্বিতীয় ওভারের দুই উইকেট নিয়ে বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন তাসকিন।
বিধ্বংসী মেজাজে আরও উইকেট শিকারের জন্য মুখিয়ে ছিলেন তাসকিন। কিন্তু তাসকিনের জোড়া আঘাতের পর ঘুঁড়ে দাঁড়ানোর পথের খোঁজে ছিলো শ্রীলঙ্কা। পেরেরা ও কুশল মেন্ডিসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় সেই পথ পেয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তৃতীয় উইকেটে ৮০ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তারা। জমে যাওয়া জুটি ভাঙ্গতে বোলিএয় বারবার পরিবর্তন করেছিলেন অধিনায়ক তামিম। অবশেষে সেই তাসকিনই ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেন। ২২ রান করা মেন্ডিসকে শিকার করেন তাসকিন।
১৫১ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হলেও অন্যপ্রান্তে দলের চাকা সচল রেখেছিলেন পেরেরা। সাকিবের বলে ৬৬ ও ৭৯ রানে যথাক্রমে মোস্তাফিজ-আফিফের হাতে দু’বার জীবন নিয়ে সেঞ্চুরির দোড় গোড়ায় পৌঁছে যান পেরেরা। এরপর ৯৯ রানে আবারো জীবন পান পেরেরা। এবার বোলার ছিলেন মোস্তাফিজুর, ফিল্ডার মাহমুুদুল্লাহ।
তাই তিনবার জীবন নিয়ে ৯৯ বলে ১০৪ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ষষ্ঠবারের মতো সেঞ্চুরির স্বাদ নেন পেরেরা। তিন অংকে পা দিয়েও নিজের ইনিংসটি বড় করছিলেন পেরেরা। তবে পেরেরাকে ১২০ রানে থামিয়ে দেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ১২২ বলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ১২০ রান করেন পেরেরা।
৪০তম ওভারে দলীয় ২১৬ রানে আউট হন পেরেরা। পেরেরার আউটের পর শ্রীলঙ্কাকে বড় স্কোর এনে দেওয়ার দায়িত্ব ছিলো লোয়ার-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের। সিরিজের প্রথমবার খেলতে নামা নিরোশান ডিকবেলা ৭ রান করে রান আউট হন। আর হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ১৮ রান করে তাসকিনের চতুর্থ শিকার হন।
তবে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ৭০ বলে ৪টি চারে অপরাজিত ৫৫ ও রমেশ মেন্ডিসের অপরাজিত ৮ রানে ৬ উইকেটে ২৮৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের তাসকিন ৯ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। সদ্য আইসিসি ওয়ানডে বোলিং র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয়স্থানে উঠা স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ -এ ম্যাচে তেকেছে উইকেট শূন্য। ফিল্ডারদের ভুলে উইকেট শিকারের স্বাদ নিতে পারেননি সাকিবও।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]