সবুজে বেষ্টনীর দেশ নিউজিল্যান্ডে প্রথম খেলবে বাংলাদেশ, দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সুবাদে উড়াল দেওয়া। একটা রোমাঞ্চ তো থাকবেই, একটি দেশে নতুন খেলতে যাচ্ছে টিম বাংলাদেশ। আজকের কথা নয়, ২০০৭ সালের কথা। অধিনায়ক আশরাফুলের দল গিয়েছিল ড্যানিয়াল ভেট্টরিদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে। সেই চ্যালেঞ্জে আজও এলোমেলো বাংলাদেশ।
২০০৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর, অকল্যান্ডে স্বাগতিকদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ৫০ ওভার থেকে গোটা টাইগার দল মিলে যে রান তুলেছে, তা ঠুনকোতেই নিয়ে নিয়েছে পাঁচ কিউই ব্যাটসম্যান। জেমি হাউয়ের ৮৮ এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ৪০। সাথে পিটার ফালটনের ৩৫ রান। ৬ উইকেট হাতে রেখেই ২০২ রানের সহজ লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড।
কিউইদের সাথে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে টাইগারদের মধ্যে বলার মতো রান করেছেন কেবল দু’জনই। ওপেনার তামিমের ব্যাট সেদিন ফিফটির দেখা পেয়েছিল। ৫৭ বলে করা ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন অধিনায়ক আশরাফুল। শেষ দিকে মাশরাফি-রাজ্জাক দলের সহায়ক। কাইল মিলস, মার্ক গিলেসপি এবং জেকব ওরাম তিনটি করে মোট ৯টি উইকেট নিয়েছেন।
সে দিনের যে তিক্ত স্বাদ পাওয়া শুরু। অধিনায়ক, খেলোয়াড় কিংবা কোচ, সময়ে সবকিছু বদলেছে। বদলে যায়নি টাইগারদের হারের রেওয়াজ। চারটি আলাদা সফরে ১২টি ওয়ানডে ম্যাচে একটিতেও জয় নেই। ২০১৫ বিশ্বকাপে হ্যামিল্টনেও ৩ উইকেটের জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। তবে কি এবার সেই অপেক্ষার অবসান হবে?
জয়ের রেওয়াজ ধরে রাখতে মরিয়া থাকবে নিউজিল্যান্ড, তা জানা কথা। তবে নতুন সূর্যোদয়ে ইতিহাস পাল্টাতে পারবে কি টাইগাররা? সে প্রশ্নের উত্তর মিলবে ২০ মার্চ, ডানিডিনে। সফরকারী বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে মুখোমুখি হবে স্বাগতিকদের।
দলের বড় তারকা সাকিব আল হাসানকে ছাড়া নবীন-প্রবীণের মিশেলে গড়া পূর্ণশক্তির বাংলাদেশ দল। কিউই শিবির উইলিয়াসন কিংবা ট্রেন্ট বোল্টের না থাকাটা বাড়তি সুবিধা ধরা যাবে। সপ্তাহ তিনেক আগেই নিউজিল্যান্ডে তাবু গেড়েছে টাইগাররা। কন্ডিশন রিড করেছেন, অনুশীলন করেছেন। প্রস্তুতির ব্যাপারে সন্দেহ নেই। এবার শুধু মাঠের খেলায় প্রমাণের অপেক্ষা।
অধিনায়ক তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। সেই অধিনায়কও বেশ আত্মবিশ্বাসী এবার। ভাঙতে চান হেরে যাওয়ার রেওয়াজ। সিরিজ জয় চিন্তা দূরে থাকলেও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের হারাতে চান কোন একচি ম্যাচেও।
অধিনায়কের ন্যায় কোচ রাসেল ডোমিঙ্গোও বেশ আশাবাদী। বাংলাদেশ দলের তার প্রত্যাশা এমনটাই যা আগে কখনো করতে পারেনি টাইগারা। এখন শুধু দেখার অপেক্ষা।
[sportsmail24.com এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার ভিডিও-ছবি এবং সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ব্রাউজ করুন যেকোন ঠিকানায়। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে ইনস্ট্রল করে নিতে আমাদের অ্যাপস ]