পাঁচ ওয়ানডে শেষে এবার দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবার অপেক্ষায় নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। সীমিত ওভারের পরই বড় ফরম্যাটে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা সকল খেলোয়াড়েরই আছে বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস। তিনি বলেন, ‘আধুনিক খেলোয়াড়রা যেকোন সময় যেকোন ফরম্যাটে দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারে। তাদের মধ্যে কোন অজুহাত থাকে না। যেকোন পরিস্থিতিতে নিজেদের সেরা পারফরমেন্সই করে থাকে তারা।’
সদ্যই পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ করলো নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে ইংলিশরা। ওই সিরিজের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন ওকস। ওয়ানডের মত পারফরমেন্স টেস্ট সিরিজেও করার ব্যাপারে আশাবাদি তিনি। দুই ম্যাচ সিরিজ নিয়ে নিজের অভিমত জানাতে গিয়ে ওকস বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সবসময়ই শক্ত প্রতিপক্ষ। তাদেরকে হারানো সবসময়ই কঠিন। আমার মনে হয় দুই ম্যাচের সিরিজটি দারুন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে। তবেই আমরা ভালো ফল অর্জন করতে পারবো। ওয়ানডে সিরিজে যেভাবে আমরা পারফরমেন্স করেছি, সেভাবে করতে পারলে সাফল্য আমাদের সঙ্গী হবে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ দিনের ম্যাচে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে চান ওকস। তিনি বলেন, ‘নিজেদের কন্ডিশনে নিউজিল্যান্ড বড় মাপের দল। প্রতিপক্ষকে কোন প্রকার ছাড় দিতে রাজি নয় তারা। তবে আমরাও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েই মাঠে নামবো। এজন্য আমাদের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে হবে এবং প্রথম দিন থেকেই তাদের চাপের মধ্যে রাখতে হবে।’
গেল বছর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ জিতলেও সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কাছে অ্যাশেজে তুলোধুনো হয় ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ৪-০ ব্যবধানে হারে তারা। এই স্মৃতি ভুলে নতুন করে শুরুর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ওকস, ‘অ্যাশেজে আমাদের পারফরমেন্স খারাপ ছিলো। অস্ট্রেলিয়া ভালো ক্রিকেট খেলেছে। তবে অ্যাশেজ সিরিজ এখন অতীত। ওই দুঃস্মৃতি আমরা ইতোমধ্যেই ভুলে গেছি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আমরা আবারো জয়ের ধারায় ফিরতে পারবো।’
সম্প্রতি ওয়ানডে সিরিজের সাফল্যই উৎসাহ যোগাচ্ছে ইংল্যান্ডকে। ২০১৭ সালের মার্চ থেকে টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে ইংলিশরা। ওয়ানডে সিরিজের সাফল্য টেস্টে ভালো খেলতে উৎসাহ দিচ্ছে বলে জানান ওকস, ‘ওয়ানডেতে আমরা যেভাবে খেলছি, টেস্টে সেভাবে পারছি না। তবে আমাদের মনোবলে চিড় ধরেনি। কারণ, ওয়ানডেতে ভালো করতে পারলে টেস্টেও ভালো করার সামর্থ্য দলের আছে। তাই আমি মনে করি, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে দল ভালো করবে।’
আগামী ২২ মার্চ থেকে অকল্যান্ডে শুরু হবে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের মধ্যকার দু’ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।