আর কত চমক দেখাবেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার নড়াইল এক্সপ্রেস। অবিশ্বাস্য এক ওভারে অগ্রণী ব্যাংকের জয়ের সকল আশাই যে শেষ করে দিলেন তিনি। ফতুল্লায় আজ যারা উপস্থিত থেকে দেখেছেন সত্যি তাদের এটা মনে থাকবে অনেক দিন। আর রেকর্ড তো বটেই।
শেষ ওভারে অগ্রণী ব্যাংকের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৩ রান। হাতে উইকেট তখনও ৪টি। ক্রিজে রয়েছেন ২৭ বলে ৪৬ রান করা ধীমান ঘোষ এবং ১০ বলে ১১ রান করা আবদুর রাজ্জাক। ঠিক এ সময় আবাহনীর হয়ে শেষ ওভারটা করতে এলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
শেষ ওভারের প্রথম বলটা সিঙ্গেল নিলেন আবদুর রাজ্জাক, ক্রিজে ধীমান। ওই বলেই আউট ধীমান, পরের বলে শান্তকে ক্যাচ দিলেন রাজ্জাক। মাশরাফির সামনে হ্যাটট্রিকের সুযোগ, শফিউল ক্যাচ তুলে দিলেন সাইফ হাসানকে। মাশরাফির লিস্ট ‘এ’ তে প্রথম হ্যাটট্রিক, এবারের লিগে দ্বিতীয়। তবে চমকের বাকি ছিল আরও।
ফজলে রাব্বি পরের বলে ক্যাচ দিলেন উইকেটের পেছনে, পর পর চার বলে উইকেট পেলেন মাশরাফি। বাংলাদেশের হয়ে লিস্ট ‘এ’ তে এ কীর্তি আর কোনো বোলারের নেই।
চার বলে ৪ উইকেট নেওয়াকে অনেকেই বলেন ডাবল হ্যাটট্রিক। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এই ডাবল হ্যাটট্রিক করেছিলেন শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচে বাংলাদেশের এই কীর্তি আছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আর টি-টোয়েন্টিতে আছে আল আমিনের।
১১ রানের দারুণ এক শ্বাসরূদ্ধকর জয় পেয়ে গেছে আবাহনী। সব মিলিয়ে ৯.৫ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। এর মধ্যে শেষ ওভারে চার উইকেটছাড়াও রয়েছে শাহরিয়ার নাফিস এবং পাকিস্তানি জাহিদ জাভেদের উইকেট। শাহরিয়ার নাফিস ১১৯ বলে খেলেন ১২১ রানের ইনিংস।
শেষ স্পেলে মাশরাফি বল করলেন মাত্র ৩.৫ ওভার। তাতেই বদলে যায় পুরো ম্যাচের চিত্র। বল করতে এসেই ফিরিয়ে দিলেন উইকেটে একেবারে জমে যাওয়া শাহরিয়ার নাফীসকে। ভাঙলেন ১৪৬ রানের জুটি। ১১৯ বলে ১৩ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ১২১ রান করেন নাফীস। পরের ওভারেই ফেরালেন জাহিদ জাভেদকে।
শেষ ওভারে এসে তো রীতিমত চমকই দেখালেন মাশরাফি। ডেড ওভারে এতটা বিধ্বংসী হয়ে ওঠবেন মাশরাফি তা হয়তো নিজেও কল্পনা করতে পারেননি।