বিসিবি প্রেসিডেন্ট’স কাপে জয় দিয়ে শুরু করলো নাজমুল একাদশ। ষষ্ঠ উইকেটে তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুরের ১০৫ রানের জুটিতে মাহমুদুল্লাহ একাদশের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় নাজমুল একাদশ।
রোববার (১১ অক্টোবর) তিন দলের এ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৪৭ দশমিক ৩ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট হয় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। জবাবে ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েও ১০৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান হৃদয়-শুক্কুর।
টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া যে নাজমুল হোসেন শান্তর সঠিক ছিল তার প্রমাণ দেয় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। ব্যাট হাতে ইনিংস শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখ। তবে ৩ ওভার ব্যাট করার পরই বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। এর আগে কোন উইকেট না হারিয়ে ১৭ রান সংগ্রহ করে মাহমুদউল্লাহ একাদশ।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে ৪২ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে শুরুতেই বিপদে পড়ে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই উইকেট হারায়। এছাড়া পরের ১৩ বলে মাত্র ৪ রানে উপরের সারির তিন ব্যাটসম্যানই সাজঘরে ফিরে। লিটন ১১ রান করে নাজমুল একাদশের পেসার তাসকিন আহমেদের ও মমিনুল হক খালি হাতে আল-আমিন হোসেনের শিকার হন। এছাড়া ৯ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন নাঈম।
২১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন ইমরুল কায়েস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইমরুলকে ব্যক্তিগত ৪০ রানে থামিয়ে জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। ইমরুলের বিদায়ে পরের দিকে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন নুরুল হাসান সোহান ও সাব্বির রহমান। এর মাঝে মাহমুদউল্লাহও ৫১ রানে বিদায় নেন।
১৬০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। সোহানকে ১৪ রানে থামান অধিনায়ক শান্ত। আর মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বিরকে বিদায় করেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। মাহমুদুল্লাহ ৮২ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫১ রান করেন। সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের পর দুই টেল-এন্ডার আবু হায়দার রনি ও রাকিবুল হাসানের ছোট্ট দু’টি ইনিংসের সুবাদে ২শর কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। তবে ১৫ বল বাকি থাকতে ১৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় মাহমুদউল্লাহ একাদশ। রাকিবুল ১৫ রানে আউট হলেও অন্যপ্রান্তে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন রনি।
বল হাতে নাজমুল একাদশের তাসকিন ৩৭ রানে-আল আমিন ৪০ রানে ও মুগ্ধ ৪৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া নাঈম-সৌম্য সরকার নেন ১টি করে উইকেট।
জয়ের জন্য ১৯৭ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি নাজমুল একাদশেরও। ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। সাইফ হাসান ১৭, সৌম্য সরকার ২১, শান্ত ২৮, মুশফিকুর রহিম ১ ও আফিফ হোসেন ৪ রান করে ফিরে যান। পেসার এবাদত হোসেনের তিনটি শিকারে উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাজমুল একাদশ।
চাপ থেকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর। মাহমুদউল্লাহ একাদশের বোলারদের দেখেশুনে খেলে রানের চাকা ঘুড়াতে থাকেন এ দুই ব্যাটসম্যান। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেন। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন তারা।
২টি করে চার-ছক্কায় ৬৭ বলে ৫২ রান করে ফিরেন হৃদয়। তবে ৭৮ বলে ৬টি চারে ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শুক্কুর। ৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকা নাঈম ছক্কা মেরে দলকে জয় উপহার দেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
মাহমুদউল্লাহ একাদশ : ১৯৬/১০, ৪৭.৩ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৫১, ইমরুল ৪০, সাব্বির ২২; তাসকিন ২/৩৭, আল আমিন ২/৪০, মুগ্ধ ২/৪৪)।
নাজমুল একাদশ : ১৯৭/৬, ৪১.১ ওভার (শুক্কুর ৫৬*, হৃদয় ৫২, শান্ত ২৮; এবাদত ৩/৪৬)।
ফল : নাজমুল একাদশ ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা খেলোয়াড় : তৌহিদ হৃদয় (নাজমুল একাদশ)।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]