প্রথম ম্যাচে ভালো করতে না পারলেও ফেরার দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের প্রমাণ দিলেন বেন স্টোকস। তার ব্যাটে ভর করেই স্বগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটের দারুণ এক জয় পেয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনলো ইংলিশরা।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ব্যাটিং-এর শুরুতে বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। কলিন মুনরো ও মার্ক চাপম্যান ১ রান করে ইংল্যান্ডের পেসার ক্রিস ওকসের শিকার হন।
মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান- রস টেইলর ও উইকেটরক্ষক টম লাথামও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। টেইলর ১০ ও লাথাম ২২ রান করে থামেন। তবে এক প্রান্ত আগলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন ওপেনার মার্টিন গাপটিল। কিন্তু নিজের ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। ৭টি চারের সহায়তায় ৮৭ বলে ৫০ রান করেন গাপটিল।
গাপটিলের বিদায়ের পর আরও দু’উইকেট হারিয়ে দ্রুত গুটিয়ে যাবার শঙ্কায় পড়ে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয়ে অবদান রাখা মিচেল স্যান্টনার। ৮ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৫২ বলে অপরাজিত ৬৩ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে ৬টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল। তাই ২২৩ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ওকস, মঈন আলী ও বেন স্টোকস।
জয়ের জন্য ২২৪ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৪৭ রানের ব্যবধানে প্রথম দুই উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এতে চাপের মুখেই পড়েছিল তারা। দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। তবে দলকে বেশি দূর নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। ৩৯ বলে ৩৭ রান করে ফিরেন বেয়ারস্টো।
দলীয় ৮৬ রানে বেয়ারস্টোর বিদায়ের পর ইংল্যান্ডের জয়ের পথ তৈরি করে ফেলেন অধিনায়ক ইয়োইন মরগান ও বেন স্টোকস। চতুর্থ উইকেটে ৮৮ রান যোগ করেন তারা। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬৩ বলে ৬২ রান করে মরগান বিদায় নিলেও ৭৪ বল মোকাবেলা করে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন স্টোকস। তার সাথে ৩৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন উইকেটরক্ষক জশ বাটলার। ম্যাচের সেরা স্টোকসের ইনিংসে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
নিউজিল্যান্ড : ২২৩/১০, ৪৯.৪ ওভার (স্যান্টনার ৬৩*, গাপটিল ৫০, মঈন ২/৩৩)
ইংল্যান্ড : ২২৫/৪, ৩৭.৫ ওভার (স্টোকস ৬৩*, মরগান ৬২, বোল্ট ২/৪৬)
ফল : ইংল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা : বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা।