ব্যাটসম্যান রস টেইলরের সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে শুভ সূচনা করলো স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
হ্যামিল্টনে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে কিউইরা। আর এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি ইংল্যান্ড। দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ৪ রানর করে ফিরেন জনি বেয়ারস্টো। তবে দ্বিতীয় উইকেটে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠেন জেসন রয় ও জো রুট।
রুট ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নিলেও ৪৯ রানে থামতে হয় রয়কে। এরপর অধিনায়ক ইয়োইন মরগান বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। মাত্র ৮ রান করে আউট হন তিনি।
১০৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর দীর্ঘদিন পর ওয়ানডেতে ফেরা বেন স্টোকসকে নিয়ে বড় জুটির পথ খুজচ্ছিলেন রুট। কিন্ত তাদের পরিকল্পনাগুলো ভেস্তে যায়। তাই দলীয় ১৮১ রানের মধ্যেই বিদায় নিতে হয় তাদের। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৫ বলে ৭১ রান করেন রুট । স্টোকসের সংগ্রহ ছিল ২২ বল ১৩ রান।
দলীয় ১৮১ রানে পঞ্চম উইকেট হারানোর পরও ৫টি করে চার-ছক্কার ইনিংসে উইকেটরক্ষক জশ বাটলারের ৬৫ বলে ৭৯ রানের সুবাদে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৪ রান করে ইংল্যান্ড।
জয়ের জন্য ২৮৫ রানের বড় টার্গেটে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। স্কোর বোর্ডে ২৭ রান উঠতেই প্যাভিলিয়নমুখী হন তিন ব্যাটসম্যান। তবে পরবর্তীতে শুরুর চাপটা সামলে উঠেন টেইলর ও উইকেটরক্ষক টম লাথাম। তাদের ব্যাটিং নৈপুন্যে প্রতিপক্ষ বোলারদের সামাল দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় নিউজিল্যান্ড। ১৮২ বল মোকাবেলা করে ১৭৮ রান যোগ করেন টেইলর ও লাথাম।
টেইলর-লাথামের জুটিতে নিউজিল্যান্ড ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিলেও লড়াইয়ে ফিরতে সময় নেয়নি ইংল্যান্ড। ৩৯ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট তুলে নেয় তারা। ফলে ২৪৪ রানে সপ্তম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এসময় ম্যাচ জয়ের জন্য ২৫ বলে ৪১ রান দরকার পড়ে কিউইদের।
অষ্টম উইকেটে টিম সাউদিকে নিয়ে মাত্র ২১ বল মোকাবেলা করে অবিচ্ছিন্ন ৪৩ রান যোগ করেন মিচেল স্যান্টনার। আট নম্বরে ব্যাট হাতে নামা স্যান্টনার ৪৫ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন। তার দুর্দান্ত ইনিংসে ২টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিল। অপরপ্রান্তে ৭ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাউদি।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ২৮৪/৮, ৫০ ওভার (বাটলার ৭৯, রুট ৭১, স্যান্টনার ২/৫৪)
নিউজিল্যান্ড : ২৮৭/৭, ৪৯.২ ওভার (টেইলর ১১৩, লাথাম ৭৯, স্টোকস ২/৪৩)
ফল : নিউজিল্যান্ড ৩ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা : রস টেইলর (নিউজিল্যান্ড)
সিরিজ : পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড।