করোনার এই সময়ে লাইন-লেন্থ ঠিক করার কাজে মনোযোগ দিচ্ছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তবে একই সময় নিজের বোলিংয়ের আরও গতি বাড়াতে চান তিনি। তার মতে, যত দ্রুত গতিতে বল করতে পারবেন ততই বিপজ্জনক বোলার হিসেবে ব্যাটসম্যানদের সামনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন তিনি।
নিয়মিত ভাবেই ঘণ্টায় ১৪০-১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে চান তাসকিন। যদিও তিনি জানেন যে এমন দ্রুত গতিতে বল করতে হলে নিজের ফিটনেসও সেভাবে ধরে রাখতে হবে। জাতীয় দলে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে আছেন এই পেসার।
গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘দ্রুত গতিতে বল করতে পারলে জানি আমি বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারব। ক্যারিয়ারের শুরুতে আমি দ্রুত বল করতে পারতাম এবং প্রচুর উইকেটও পেয়েছি। সে সময় সবাই বিশেষ করে মাশরাফি ভাই আমাকে বলতেন যত সম্ভব দ্রুত বল করতে। আমিও জোড়ালো বোলিংকে উপভোগ করতাম।’
তবে দুর্দান্তভাবে শুরুর পর ইনজুরির কবলে পড়ে নড়বড়ে হয়ে যায় তাসকিনের ক্যারিয়ার। অবশ্য ইনজুরি কাটিয়ে তিনি টেস্ট ক্রিকেটে জায়গা লাভে সক্ষম তিনি। ভারতের হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত এক মাত্র টেস্টে তাসকিনের বোলিং তোপে পড়ে স্বাগতিক ভারতের নামী-দামী ব্যাটসম্যানরা পর্যন্ত খেই হারিয়ে ফেলেন।
ওই সিরিজের পর ধারণা করা হয়েছিল তিনি যে কোন ফরম্যাটেই দলের সেরা বোলার হিসেবে নিজকে বসাতে পারবেন। তবে বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। আরেক দফার ইনজুরি তাকে দল থেকেই বের করে দেয়। এর পর থেকে ছন্দ ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০১৯ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চলাকালে কিংবদন্তী পেসার ওয়াকার ইউনুসের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ হয়েছিল তাসকিনের। এ সময় তিনি আবারও আগ্রাসী মেজাজ ফিরে পান তিনি। তবে এর পর আরেক দফার ইনজুরি আরও একবার দলের বাইরে পাঠিয়ে দেয় তাসকিনকে।
এই পেসার বলেন, ‘এরপর থেকে আমি অপেক্ষা করছি জাতীয় দলে ফেরার। আমি সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করেছি। মনে হচ্ছে আমি ফের আমার সেরা ফর্ম ফিরে পাচ্ছি।’
জাতীয় দলে আবারও প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হিসেবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগকেই (ডিপিএল) বেছে নিয়েছিলেন তাসকিন। কিন্তু করোনার ব্যাপক সংক্রমণ অনির্দিষ্টকালের জন্য শুধু দেশের ক্রিকেটকেই থামিয়ে দেয়নি, হতাশ করেছে তাসকিনকেও।
তিনি বলেন, ‘আমি শুধু একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছি। সেটি খুব একটা ভালো হয়নি। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বস করি, কয়েক ম্যাচে খেলতে পারলেই আমি নিজের সেরা অবস্থান ফিরে পাব। করোনাভাইরাসের এই প্রকোপ আমাকে খুবই হতাশ করেছে। তবে আমি নিজের বাড়িতে এবং জিমে কাজ করে যাচ্ছি।’
‘ঘরে অনুশীলন ও ম্যাচ অনুশীলন সম্পূর্ণ ভিন্ন। আমি এখনও ভালো অবস্থা অনুভব করছি। আমি যদি কিছু ম্যাচ খেলতে পারি, তাহলে নিজের জোড়ালো বোলিং সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারতাম।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]