বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার প্রথম সফর বাংলাদেশে। সিরিজের শুরুর আগে তাই প্রশ্ন ছিল বাংলাদেশ দলের নাড়ি নক্ষত্র চেনা থাকায় বাড়তি সুবিধা পাবেন কিনা? তবে তা প্রথম সংবাদ সম্মেলনে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এবার শেষ বেলায় এসে স্বীকার করলেন বাংলাদেশ ‘জ্ঞান’ বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে হাথুরুসিংহে।
সিরিজ শুরুর দিকে ফেভারিট ছিল বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজে মাশরাফি মর্তুজার দলের শুরুটাও হয়েছিল দাপটের সঙ্গে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছিল রেকর্ড ব্যবধানে। তবে তৃতীয় ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কানরা। আগের ম্যাচে বাংলাদেশকে একশ রানের নিচে গুটিয়ে দেওয়ার পর জিতে যায় ফাইনালেও।
ফাইনালে ম্যাচে চোটে পড়ে সিরিজ থেকে ছিটকে যান সাকিব আল হাসান। চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ড্র করার পর ঢাকাতে ব্যাটিং ধসে লঙ্কানদের কাছে বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। সেই তেজ নিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে ধরাশায়ী করেছে শ্রীলঙ্কা। ফলে সিলেটে শেষ ম্যাচের আগেই অনেকটাই নির্ভার হাথুরুসিংহে। হয়তো তাই আর ভেতরের চিন্তাটা গোপন রাখলেন না।
বলে দিলেন, ‘হ্যাঁ। কয়েকজন খেলোয়াড়কে (বাংলাদেশি খেলোয়াড়) নিয়ে আমাদের কিছু কৌশলগত পরিকল্পনা ছিল। আমরা জানতাম চাপে পড়লে তারা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়।’
২০১৪ থেকে ২০১৭ প্রায় সাড়ে তিন বছর বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করেছেন হাথুরুসিংহে। টাইগারদের স্কিলের শক্তি কিংবা ঘাটতি সবই তার জানা। জানা আছে সবার অ্যাপ্রোচ, চিন্তা ভাবনার জগতও।
তিনি বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে তারা (বাংলাদেশ) শক্তিশালী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, যেটা আমি আশা করেছিলাম। এটা না হলে আমি বরং হতাশ হতাম। আমি খুশি ছিলাম এবং তারপর আমাদের (শ্রীলঙ্কা) ফিরে আসার পর আরও খুশি হই। সব মিলিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এটা খুবই সন্তুষ্টজনক সফর।
হাথুরু আরও বলেন, ‘কিন্তু আবারও বলছি, আমি যাওয়ার পরও চেয়েছি বাংলাদেশ ভালো করুক। তারা কেমন করছে তাতে আমার চোখ ছিল।’