ক্রিকেট জীবনে কম গতিতে বল করার জন্য বর্তমান ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে প্রায়শই ট্রলের স্বীকার হতে হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক পেসার খালেদ মাহমুদ সুজনকে। তবে এসব নিয়ে খুব একটা কোনো মাথা ব্যাথা নেই। এমনকি পাত্তাও দেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৫ মে) রাত ১০টায় ক্রীড়া সাংবাদিক নোমান মোহাম্মদের নট আউট নোমান ইউটিউব চ্যানেলের লাইভ আড্ডায় যুক্ত হয়েছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। নোমান মোহাম্মদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এসব কথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে আমাদের একটা কথা আছে- যে জিনিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে তাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করো না। যেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব আমি সেটাই নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। যারা এসব বলেন, তারা কেন বলেন আমি জানি না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমি এতটা সক্রিয় নই।’
নিজের ক্যারিয়ারে কম গতির জন্যে অনেক ট্রলের শিকার হতে হয় তাকে। এ নিয়ে তাকে গতিদানব,গদা সুজনসহ বিভিন্ন নামে ডাকে বর্তমান সময়ের ক্রিকেট সমর্থকরা। এ ব্যাপারে তিনি জানান, একটা সময় ১৩৫ এর আশেপাশে নিয়মিত বল করেছি। এমনকি চামিন্দা ভাসও ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় ১১০-১১৫ গতিতে বল করতেন।
তিনি বলেন, ‘গতিদানব যে কথাটা আছে… আমি কিন্তু একদম খারাপ গতিতেও বল করিনি একসময়। ১৩৭ কিমি. সর্বোচ্চ গতি ছিল, এত কম নয়। যখন ছন্দে ছিলাম ১৩৫ এর মত গতিতে বল করেছি। চামিন্দা ভাস ১৪০ কিমি. গতিতে বল করেছে আবার শেষদিকে এসে ১১০-১১৫ কিমি. গতিতেও বল করেছে। আমি অবশ্য নিজেকে উনার সাথে তুলনা করি না।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘ঢাকার উইকেটে খেলার সময় গতির কথা চিন্তা করলে বল বারবার মাঠের বাইরে থেকে নিয়ে আসতে হত। আমরা তখন চিন্তা করেছি কীভাবে কাটার শিখতে পারি, কাটার নিয়ে অনেক কাজ করেছি। শচীন টেন্ডুলকার, বীরেন্দর শেওয়াগ- যত বড় উইকেট পেয়েছি সব লেগ কাটারে পেয়েছি। এজন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অনুশীলন করতে হয়েছে।’
তিনি জানান, যারা তাকে নিয়ে নিন্দা করে তাদের বিপক্ষে তার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি বলেন, ‘আমার কোনো অভিযোগ নেই। মানুষ যা বলার সেটা বলবেই। অনেকে হয়তো খেলাই দেখেনি আমার কিন্তু আমাকে নিয়ে অনেক কথা বলে। এগুলো নিয়ে আমার এত বেশি মাথাব্যথা নেই।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]