ক্রিকেট ম্যাচ পরিচালনার গুরু দায়িত্ব থাকে তাদের কাঁধে। সামান্য ভুলে সবার আগে আঙুল ওঠে তাদের দিকেই। সব বাধা সামলে বছরের পর বছর দুরন্ত ফর্মে আম্পায়ারিং করছেন তারা। আম্পায়ার হিসেবে প্রত্যেকেই অত্যন্ত সফল। তবে এদের অন্য আরও একটি পরিচয়ও আছে। কম বয়সে তারা প্রত্যেকেই ছিলেন একেক জন অসাধারণ ক্রিকেটার।
চলুন তাদের অতীত সম্পর্কে একটু ধারণা নেয়া যাক-
শ্রীনিবাস বেঙ্কটরাঘবন
ভারতের এ আম্পায়ার ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা আম্পায়ার। এ প্রাক্তন অফ স্পিনার ১৯৬৫ থেকে ১৯৮৩ পর্যন্ত ১৮ বছরে ৫৭টি টেস্ট ম্যাচ এবং ১৫টি একদিনের ম্যাচে ভারতের জাতীয় দলের সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ৭৩টি টেস্ট এবং ৫২টি একদিনের ম্যাচ পরিচালনা করেছেন ৭২ বছরের শ্রীনিবাস।
পল রাইফেল
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সেরা সিম বোলার হিসেবে সাত বছর ছিলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৯ পর্যন্ত টানা ৭ বছর তিনি খেলেছিলেন ৩৫টি টেস্ট এবং ৯২টি একদিনের আন্তর্জাতিক। অবসর নেওয়ার পর ২০০৯ সালে থেকে আম্পায়ার হিসেবে যাত্রা শুরু। এখন পর্যন্ত ৩৫টি ওডিআই, ৫৪টি টেস্টের পাশাপাশি ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনার করেছেন ৫১ বছরের রাইফেল।
কুমার ধর্মসেনা
বর্তমান সফল আন্তর্জাতিক আম্পায়ারদের মধ্যে অন্যতম শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা। ১৯৯৩ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের অন্যতম ভরসা ছিলেন এই অফ স্পিনার তথা লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন ধর্মসেনা। ৪৬ বছরের ধর্মসেনা আম্পায়ার হিসেবেও অত্যন্ত সফল। ৫১টি টেস্ট, ৮৪টি একদিনের পাশাপাশি ২২টি টি-টোয়েন্টিতে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
ইয়ান গোল্ড
এক সময় ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেটের অত্যন্ত পরিচিত নাম ইয়ান গোল্ড। ছিলেন একজন সফল উইকেটরক্ষকও। ১৯৭৫ থেকে ১৯৯৬ টানা ১৯ বছর একাধিক কাউন্টি ক্লাবের সদস্য ছিলেন। ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে ১৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে উইকেটের পিছনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে তাকে। ১৫টি ক্যাচ এবং তিনটি স্টাম্প করেছিলেন তিনি।
তবে একজন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হিসেবে ২০০৬ সাল থেকে যাত্রা শুরু গোল্ডের। ইতোমধ্যেই ৬৪টি টেস্ট, ১২৩টি ওডিআই এবং ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দেখা গিয়েছে বছর ৬০ বছরের গোল্ডকে।
পিটার উইলি
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অফ স্পিনার তথা মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান পিটার উইলি। ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত দশ বছরে ২৬টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ৬৮ বছরের পিটারকে ২৫টি টেস্ট এবং ৪৩টি একদিনের ম্যাচে দায়িত্ব সামলাতে দেখা গিয়েছে।