ক্রিকেটের প্রধান সংস্থা আইসিসির কাছে ওয়ানডের বর্তমান নিয়ম আবারও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের মাস্টার ব্লাস্টার ব্যাটসমান শচীন টেন্ডুলকার। বর্তমান নিয়মে ব্যাটসম্যানরা অনেক বেশি সুবিধা পাচ্ছেন বলে তার ধারণা।
বর্তমানে একটি ওয়ানডে ম্যাচ দু’টি নতুন বল দিয়ে পরিচালনা করা হয়। এছাড়া ফিল্ডিংয়ের নিয়মে প্রতিটি ইনিংসে তিনটি পাওয়ার প্লে থাকে।
প্রথম পাওয়া-প্লে ১ থেকে ১০ ওভার, এ পাওয়া-প্লেতে ৩০ গজের বাইরে মাত্র দু’জন ফিল্ডার থাকেন। দ্বিতীয় পাওয়া-প্লে হলো- ১১ থেকে ৪০ ওভার পর্যন্ত। এখানে চারজন ফিল্ডার ৩০ গজের বাইরে থাকে। শেষ ১০ ওভার তৃতীয় পাওয়ার প্লেতে পাঁচজন ফিল্ডার ৩০ গজের বাইরে থাকেন।
সম্প্রতি নিজেদের ওয়েবসাইটে ভক্তদের মনে করিয়ে দিতে ওপেনার হিসেবে ভারতের টেন্ডুলকার ও সৌরভ গাঙ্গুলির জুটির পরিসংখ্যান তুলে ধরে আইসিসি। দু’জনে ১৭৬ ম্যাচ একত্রে জুটি গড়ে ৪৭ দশমিক ৫৫ গড়ে ৮২২৭ রান করেছিলেন।
আইসিসির এমন পরিসংখ্যান চোখে পড়ে ভারতের টেন্ডুলকারের। যার সাথে ওমন পরিসংখ্যানের জন্ম দিয়েছিলেন সেই সৌরভ গাঙ্গুলিকে ট্যাগ করে টুইটারে টুইট করেন টেন্ডুলকার। বলেন, বর্তমানে খেলতে পারলে দু’জনে আরও বেশি রান করতেন।
গাঙ্গুলিকে উদ্দেশ্য করে টেন্ডুলকার টুইটে লিখেন, ‘এটা (পরিসংখ্যান) দারুণ সব স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো দাদি (গাঙ্গুলিকে দাদি বলে ডাকেন টেন্ডুলকার)। বর্তমান নিয়মে যেখানে চার ফিল্ডার ৩০ গজের বাইরে রাখা এবং দু’টি নতুন বল দিয়ে খেলা বাধ্যতামূলক, এ সময় আমরা খেললে আর কত বেশি রান করতে পারতাম?’
টেন্ডুলকারের টুইট দেখে চুপ করে থাকতে পারেননি গাঙ্গুলিও। টেন্ডুলকারকে পাল্টা টুইট করে ভারতের সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক ও ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান প্রেসিডেন্ট গাঙ্গুলি লিখেন, ‘আরও চার হাজার বা তারও বেশি…২টি নতুন বল…বাহ…মনে হচ্ছে, প্রথম ওভারেই কভার ড্রাইভে উড়িয়ে বাউন্ডারি পার…তারপরও তো পুরো ৫০ ওভার বাকিই রয়েছে।’
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]