বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে করোনার যুদ্ধের বীরাঙ্গনাদের সাথে আলাপচারিতায় বসেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। প্রশ্ন উত্তর পর্বের এক ক্ষণে মায়ের সামনে দেশের জার্সি গায়ে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা জানতে চান এক ডাক্তার। শচীন জানান, তার মা কখনও খেলা দেখতো না সেদিনই প্রথম সরাসরি তার খেলা দেখেন আর সেটিও শচীনের ইচ্ছাতেই।
এক ডাক্তার শচীনকে প্রশ্ন করেন যে, আমরা শুনেছি আপনার মা রজনী টেন্ডুলকার সব সময় খুব নার্ভাস থাকতেন আপনি ব্যাট করার সময়। কিন্তু ২০১৩ সালে আপনার খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন রজনী দেবী। মায়ের সামনে দেশের জার্সি গায়ে ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উত্তরে শচীন বলেন, বিস্ময়কর শোনালেও সত্যি, ওই এক বারই আমার খেলা দেখতে মা উপস্থিত ছিলেন। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর আগে ওটাই আমার একটা শেষ ইচ্ছা ছিল। আমি এন শ্রীনিবাসনকে (বোর্ডের তখনকার প্রেসিডেন্ট) ফোন করে বলেছিলাম, ওয়াংখেড়েতে শেষ ম্যাচ খেলতে চাই আমার মায়ের চোখের সামনে।
চব্বিশ বছর ধরে আমি ভারতের হয়ে খেলেছি কিন্তু মা কখনও আমার খেলা দেখতে মাঠে আসেননি। এন শ্রীনিবাসন সেই অনুরোধ রেখেছিলেন। ভারতের হয়ে খেলা তো ছেড়েই দিন, স্কুল জীবন থেকেই মা কখনও আমার খেলা দেখেননি। তাই আমি চেয়েছিলাম, ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার আগে অন্তত একবার মাঠে এসে খেলা দেখার অভিজ্ঞতা হোক মায়ের। চেয়েছিলাম, একবার মাঠে এসে সরাসরি মা দেখুন, গত চব্বিশ বছর ধরে ছেলে কী করছিল!
ওয়াংখেড়েতে দিনের শেষ ওভারটা যখন আমি খেলছিলাম, প্রত্যেকটা বলের পরে মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে আমার পরিবারকে দেখাচ্ছিল। বাইশ গজে দাঁড়িয়ে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা তখন খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। বিশেষ করে মায়ের মুখটা যখন ভেসে উঠছিল জায়ান্ট স্ক্রিনে। ক্রিকেট চিরদিন থাকে না, কিন্তু মায়ের ওই মুখটা, আমি ব্যাট করছি আর মুখের সেই প্রতিক্রিয়াটা বাকি জীবন আমার সেরা স্মৃতি হয়ে থাকবে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]