নব্বই দশকে ভারত -পাকিস্তানের ব্যাট-বলের দ্বৈরথ ছি ক্রিকেট মাঠের অন্যতম আকর্ষণ। শচিন টেন্ডুলকারের জন্মদিনে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে সংবাদসংস্থাকে এক অজানা তথ্য দিলেন পাকিস্তানের অফস্পিনার সাকলাইন মুস্তাক। তিনি জানান, শচিনকে তিনি একবার স্লেজিং করেছিলেন তারপর খেলার মাঠে আর কখনও শচিনকে স্লেজিং করেননি তিনি।
তিনি বলেন, কানাডায় সাহারা কাপের সেই ম্যাচে আমি যখন শচিনকে প্রথমবার স্লেজিং করি, তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন এসেছি। যতদূর মনে পড়ে, সেটা ছিল ১৯৯৭ সালের ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, শচিন ধীর ধীরে আমার সামনে এসে বলে, আমি তো তোমার সঙ্গে কখনও খারাপ ব্যবহার করিনি। তুমি তা হলে এ রকম আচরণ করছ কেন? সে দিন শচিনের এই উত্তর শুনে এতটাই বিব্রত হয়ে গিয়েছিলাম যে উত্তরে কী বলব, তা মাথায় আসেনি।
তিনি আরও যোগ করে বলেন, শচিন আমাকে জানায়, ক্রিকেটার ও মানুষ হিসেবে আমাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয় ও। এ কথার পরে আরও কোনও দিন শচিনকে খারাপ কথা বলিনি। আমি সে দিন শচিনকে কী বলেছিলাম, তা বলতে চাই না। কিন্তু ম্যাচের পরে শচিনের কাছে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিই।
শচিনকে তার জীবনে দেখা অন্যতম বিনয়ী মানুষ আখ্যা দিয়ে ৪৩ বছর বয়সী এই পাক স্পিনার উল্লেখ করেন ১৯৯৯ সালের চেন্নাই টেস্টের কথা। যে ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৬ রান করেছিলেন শচিন। আর সাকলাইন দুই ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ১২ রানে জিতিয়েছিলেন পাকিস্তানকে।
সাকলাইন বলেন, সেই ম্যাচে দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রচুর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। কিন্তু আমার ও শচিনের মধ্যে কোনও কথা কাটাকাটি হয়নি। দু’জনেই নিজের দেশকে জেতাতে মনোনিবেশ করেছিলাম। দুই ইনিংসেই আমি শচিনকে আউট করি। ঈশ্বর আমার পাশে থাকায় সে দিন আমি ছিলাম বিজয়ী দলে।
অফস্পিনের উল্টো ডেলিভারি বা ‘দুসরা’র আবিষ্কর্তা যোগ করেন, দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়াসিম আক্রামকে খেলা কঠিন হচ্ছিল। কিন্তু ওয়াসিম ভাইকে অবলীলায় খেলে শচিন শতরান করে দেখিয়েছিল ও কত বড় ব্যাটসম্যান। সকলেই আমার দুসরাকে ভয় পেত, কিন্তু শচিন ওর তীক্ষ্ণ চোখ দিয়ে ঠিক আমার বলটা আগাম বুঝে নিতে পারত।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]