বল চকচকে রাখার জন্য বা বলে সুইং পেতে থুথু ব্যবহার করেন বোলাররা। করোনার কারণে বলে থুথু ব্যবহার করার নিয়ে ইতোমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। মাঝে মাঝে কৃত্রিম পদার্থ দিয়েও বল পালিশ করতে দেখা যায়, যা বল-বিকৃত করা বা বল টেম্পারিং। যা কি না ক্রিকেটে অবৈধ। তবে এ ভাইরাসের প্রকোপের কারণে বল বিকৃত কিংবা বল টেম্পারিংকে বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের এমন তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়, আইসিসি আম্পায়ারদের তত্ত্বাবধানে বৈধ কোনও পদার্থ দিয়ে বল পালিশ করাকে বৈধতা দেওয়ার কথা ভাবছে। এখনকার নিয়ম অনুযায়ী যা নিষিদ্ধ এবং বল বিকৃতির আওতায় পড়ে। বিষয়টি এ নিয়ে আইসিসির সভায় আলোচনা হয়েছে।
থুথু ব্যবহার করে বল পালিশ করায় ঝুঁকির কথা তুলেছে আইসিসির মেডিক্যাল কমিটিও। বল পালিশ করা টেস্ট ক্রিকেটের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এতে বোলারদের সুইং পেতে সুবিধা হয়। প্রথাগত এবং রিভার্স দু’ধরনের সুইং পেতে গেলেই বলের এক দিকে চকচকে ধরে রাখা জরুরি। ক্রিকেট বিশ্বে বল-বকৃতি নিয়ে নানা সময়ে নানা ঘটনা ঘটেছে।
দু’বছর আগেও শিরিষ কাগজ ঘষে বল বিকৃত করার অভিযোগে নির্বাসিত হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নারেরা। আইসিসির নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অনেকে মনে করছেন, বল-বিকৃতিকেই স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হ্যাজলউড মনে করেন, বোলাররা বল সুইং করাতে না পারলে টেস্ট ক্রিকেট তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, আমার মনে হয় সাদা বল তবু ঠিক আছে। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেট খুব কঠিন হয়ে উঠবে। যদি ৮০ ওভার পর্যন্ত বলের অবস্থা ঠিকঠাক না রাখা যায় তা হলে প্রাথমিক পালিশ ওঠার পরে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে কাজটা খুব সহজ হয়ে যাবে।
[sportsmail24.com এর ওয়েবসাইট এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও ব্রাউজ করে পড়তে পারবেন। এছাড়া অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস থেকেও খেলাধুলার সকল নিউজ পড়তে পারবেন। ইনস্ট্রল করুন স্পোর্টসমেইল২৪.কমের অ্যাপস ]