বেড়েই চলেছে লকডাউনের মেয়াদ। চিকিৎসকরাও আছেন নিদারুণ কষ্টে। সবমিলিয়ে ভালো নেই দেশের মানুষ। যে যেভাবে পারছেন দেশের দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। ক্রিকেটাররা নিজেদের বেতনের অর্ধেক দিয়েই থেমে থাকেননি। নিজেদের মতো করেও এগিয়ে আসছে সবাই।
২০১৩ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিশতক হাঁকানো সেই প্রিয় ব্যাটটি হাতছাড়া করতে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। করোনায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে প্রিয় ব্যাটটি নিলামে তুলতে যাচ্ছেন তিনি।
বাংলাদেশে নিলামের কোনো প্ল্যাটফর্ম না থাকায় বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে মুশফিকের মার্কেটিং এজেন্ট কোম্পানি নিবকো। নিবকোর এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে নিলামের কোনো প্ল্যাটফর্ম নেই। প্রক্রিয়াটি বেশ জটিল। আমরা ভাবছি কীভাবে নিলামে তুললে সুবিধা হবে। সেটা নিয়ে কাজ করছি। নিলামটি অনলাইনেও হতে পারে।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ লেখা হয়েছে এই ব্যাট দিয়ে, এমন একটি ব্যাটের প্রত্যাশিত মূল্য নিশ্চিত করতেই ভিত্তিমূল্য রাখার চিন্তা করছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
করোনা মোকাবিলায় এর আগে নিজের বিশ্বকাপ ফাইনালের জার্সি নিলামে তোলেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার জস বাটলার। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের জার্সিটি ৬৫ হাজার পাউন্ডে (৬৮ লাখ ৭ হাজার টাকা) বিক্রি হয়।