চতুর্থ ওয়ান ডে-তে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের ফলের কারণ অনেকটাই বৃষ্টি। ডিএলএস মেথডে শেষ পর্যন্ত জিতে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট বৃষ্টিকে হারের জন্য অজুহাত বানাতে নারাজ। তবে যা খবর তাতে পঞ্চম ওয়ান ডে-তেও বৃষ্টির ভ্রুকূটি রয়েছে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ছিল গোলাপী জার্সি। যে জার্সিতে কখনও হারেনি তারা। সেই রেকর্ড ধরে রেখেছে শেষ ম্যাচেও।
মঙ্গলবার পোর্ট এলিজাবেথে পঞ্চম ওয়ান ডে খেলতে নামছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। বৃষ্টি বাঁধা হতে পারে জেনেই প্রশ্ন উঠছে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করাটা কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে? চতুর্থ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করাটা কাজে লাগেনি ভারতের। সেখানেই বড় প্রশ্ন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সবসময়ই দলগুলির কাছে থাকার কথা। সেই মতো বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকা জোহানেসবার্গে পরে ব্যাটিংটাই সঠিক ছিল তা বুঝিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়।
পোর্ট এলিজাবেথে ভারত টস জিতলে কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা বড় প্রশ্ন। তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে ফিল্ডিং নেওয়াটাই যে সঠিক সিদ্ধান্ত সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে চতুর্থ ওয়ান ডে-র ফলে। আর সেখানেই থমকে গিয়েছে ভারতের দ্রুত সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। যেটা পঞ্চম ম্যাচে করে নিতে চাইবে ভারত। চতুর্থ টেস্টে হারের জন্য ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের দল নির্বাচনের দিকেও আঙুল তুলছেন অনেকে। ভুবনেশ্বর কুমার ও যশপ্রীত বুমরাহকে ব্যবহার না করা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এ ছাড়া প্রশ্ন উঠছে কেদার যাদবের ফিটনেস নিয়েও। কেপ টাউনে হ্যাম স্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন কেদার। কিন্তু তাঁর পরিবর্তন কে হতে পারে তা নিয়েও চলছে বিস্তর আলোচনা।
হার্দিককে সে জায়গায় ভাবা গেলেও তাঁর ওভারের কোটা পুরো করতে পারেনি। কেদার যাদবের সঙ্গে চাহাল ও কুলদীপের জুটিটা বেশ কার্যকরী। যে কারণে কেদারে পরিবর্ত কে হতে পারেন সেটা ভাবতে কালঘাম ছুটছে শাস্ত্র, বিরাটের। রোহিত শর্মা অতীতে বল করেছেন কিন্তু সম্প্রতি তাঁকে বল হাতে দেখা যায়নি। শেষ বল করেছিলেন ২০১৬র জানুয়ারিতে পার্থে। শ্রেয়াস আইয়ারের লেগ ব্রেক করতে পারেন কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে এক ওভার বল করেছিলেন।
ভারতের মিডল অর্ডারের যা অবস্থা তাতে বিরাট কোহালি আর শিখর ধবনকে প্যাভেলিয়নে ফেরাতে পারলেই অনেকটা কাজ হয়ে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং ডিপার্টমেন্টের। ওপেনার রোহিত শর্মা ফর্মের ধারে কাছে নেই। বাকিরাও তথৈবচ। শেষ টেস্ট হোক বা তিনটি ওয়ান ডে, সব জয়ের পিছনেই বড় ভূমিকা রেখে গিয়েছেন ভারতের বোলাররা। এই মাঠের ইতিহাস বলছে, ৩২টি ম্যাচের মধ্য ১১টিতে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের এই মাঠে তেমন কোনও বলার মতো ইতিহাস নেই। এখানে ১৯৯২ থেকে পাঁচটি ওয়ান ডে খেলেছে ভারত। সব গুলোই হারতে হয়েছে। আর কোনও ম্যাচেই ২০০ রানের গণ্ডি পেড়িয়ে যেতে পারেনি ভারত।
যে কারণে এই ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে লেখা হতে পারে নতুন কাহিনী। ভারতের সিরিজ জয় বা শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা সিরিজ।