পাকিস্তানের ক্রিকেটে স্পট ফিক্সিং প্রায় নিয়মিত ঘটনা। কিছুদিন পরপরই পাকিস্তানের ক্রিকেটে দেখা মিলে স্পট ফিক্সিংয়ের মত অপরাধমূলক কান্ডের। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কারণে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞায় থাকতে হয়েছিল সালমান বাটকে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরেই ক্রিকেটে ফিরেছেন বাট।
তবে জাতীয় দলে ফেরানোর ব্যাপারে পিসিবি স্বীকৃতি জানালে সমালোচনা করতে থাকে সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা। একজন সাবেক ফিক্সার হিসেবে নিজেদের ‘অধিকার রক্ষা’য় এবার মুখ খুললেন বাট। তিনি বলেন, পাকিস্তান ক্রিকেটের দুর্নীতির যে অবস্থা, তাতে এখানে কারও সততার কথা বলা উচিত নয়।
দীর্ঘদিন পর এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আইসিসি আর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কথার উল্লেখ করে বাট বলেন , ‘আমি আসলেই বুঝতে পারি না কেন এসব নিয়ে কাউকে কথা বলতে হবে, নিজের মত দিতে হবে। কারণ তাঁদের কথায় কিছু যায় আসে না। শেষ কথা হচ্ছে, শুধু আইসিসি আর পিসিবিই এ ব্যাপারে কথা বলা উচিত। কারণ আইনকানুন তো তারাই বানায়।’
পাকিস্তান ক্রিকেটে আরও অনেক দুর্নীতিমূলক কাজ ঘটে এমন ইঙ্গিত করে বাট বলেন, ‘আমি এমন অনেক খেলোয়াড়কে চিনি যাদের জাতীয় দলে নেওয়া হয় (বোর্ডের ওপরমহলের সঙ্গে) তাঁদের সম্পর্কের কারণে। অনেক খেলোয়াড়ই আছে যারা তেমন আহামরি না কিছু করলেও বারবার তাদের ফেরার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের আসলে পাকিস্তান ক্রিকেটে সততা নিয়ে বুলি ছাড়াই উচিত নয়।’
ফিক্সিংয়ের কারণে শাস্তি শেষেও তাকে সুযোগ না দেওয়া নিয়ে বাট বলেন, ‘আইন অনুযায়ী খেলোয়াড়দের একইরকম সম্মান দেওয়া উচিত। একবার শাস্তি ভোগ করা শেষ হয়ে গেলে একজন খেলোয়াড়কে অন্য যে কারও মতো করে দেখা উচিত।‘
সবশেষে তিনি উল্টো বেশ কয়েকটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না, কিন্তু যারা পুরো ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলেন সব সময় তাদের কিছু প্রশ্ন করতে চাই। নিজেরা যখন শুধু (ওপরমহলের সঙ্গে) সম্পর্কের কারণে কোনো খেলোয়াড়কে সুযোগ দেন, তখন এই সততা কোথায় থাকে? ওই ক্রিকেটারদের ব্যর্থতায় পাকিস্তান ক্রিকেট যখন ভোগে, তখন তাদের সততা কোথায় থাকে?’