করোনার কারণে ২৮ মে পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে ইংল্যান্ডের সবধরনের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক খেলা। স্থগিতাদেশ শেষ হলে প্রয়োজনে দিনে দুটি করে ম্যাচ আয়োজনে বদ্ধপরিকর ইংল্যান্ড। তবে দিনে দুটি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা বাঁধলেও জুনে উইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ আয়োজনের সম্ভাবনা কম দেখছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক অ্যাশলে গাইলস।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ৪ জুন ওভালে শুরু হবে উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে সীমিত ওভারের ক্রিকেট, পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ।
ঘরের মাঠে উইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ পিছিয়ে যাচ্ছে এমনটাই ভাবছেন বোর্ড পরিচালক। শুধু উইন্ডিজ সিরিজই নয় পিছিয়ে যেতে পারে পরের কিছু সিরিজও।
এ ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদেরকে বিকল্প ভাবতে হবে। শুধু তাই নয় আমরা ভাবছি দেখি গ্রীষ্মের মৌসুম কতটা পিছিয়ে দেওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, বোর্ডগুলোর মাঝে আমাদের বেশ সুসম্পর্ক। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেট বোর্ডগুলোর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিব। তবে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সেরা সুযোগ খুঁজবো।
ইংল্যান্ডে এখন অনেক ক্রিকেটার চাইলেই টেস্ট ও সীমিত ওভারের দুইটি ভিন্ন দল বানাতে পারে৷ ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জস বাটলার মনে করেন একই সাথে দুটি ভিন্ন দল মাঠে নামা সম্ভব।
এ ব্যাপারে গাইলস বলেন, এটি সম্ভব তবে বিভিন্ন ফরম্যাটের ম্যাচ পরপরদিন অনুষ্ঠিত হলে। যেমন আপনার টেস্ট ম্যাচ চলতে পারে আর টেস্ট ম্যাচের আগের ও পরেরদিন আপনি ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলতে পারেন।
সেই সাথে তিনি বলেন, আমরা জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ক্রিকেট খেলতে চাই। তবে যদি কেবল সেপ্টেম্বরে খেলার সুযোগ পাই তবুও আমরা খেলতে চাই। এটা হাস্যকর চোনা গেলেও কিছু করার নেই এটাই আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি।