ক্রিকেটে বলে থুথু দেওয়া নিয়মিত ঘটনা। তবে বলে থুথু দেওয়া সবচেয়ে বেশি দেখা যায় টেস্ট ক্রিকেটে। বল চকচকে রাখতে ও বলে সুইং পেতেই খেলোয়াড়েরা এমন করে। করোনাভাইরাস শেষ হলে আবারও আগের রূপে ফিরবে ক্রিকেট। তবে খেলা শুরু হওয়ার পর বলে থুথু দেওয়ার মাধ্যমে আবারও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস এমনটাই আশঙ্কা করছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। তাই তো খেলা শুরু হলে নিষিদ্ধ হতে পারে বলে থুথু দেওয়া এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মেলবোর্নের ফেডারেশন ইউনিভার্সিটির একজন এপিডেমিওলজিস্ট রিচার্ড ব্র্যাডবেরি বলেছেন, বলে থুথু দেওয়া অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, বিশেষত ভাইরাসটি কতটা সংক্রামক আর কতক্ষণ নির্জীব পৃষ্ঠের উপরে বেঁচে থাকতে পারে তা অনুধাবন করা গেছে।
অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ সানজায়া সেনানায়াকে বলেছেন যে ক্রিকেট আবার শুরু হলে তিনি "স্পষ্টতই বলের উপরে কিছু না ছুঁতে" পরামর্শ দেবেন।
তিনি মনে করেন, একজন পেস বোলার দ্বারা প্রতিটি ডেলিভারির পরে সাধারণত প্রতিটি দলের একজন করে খেলোয়াড় বলটিতে থুথু ফেলবেন। বল চকচকে রাখার জন্য এবং বলের সুইংকে সহায়তা করতে বলের উপর লালা সরবরাহ করে।
সেনানায়াকে বলেন, থুথু ছুঁড়ে মারার চেয়েও খারাপ, যখন লালা প্রয়োগ করা হয়, তখন বলটি অন্য ফিল্ডারদের কাছে দেওয়া হয়, তারা বলটি স্পর্শ করে এবং তারপরে এটি বোলারের কাছে দেয়। যা ক্ষতির কারণ হবে।
এডিনবার্গ ইউনিভার্সিটির একজন মহামারী বিশেষজ্ঞ রোল্যান্ড কাও বলেন, থুতু দেওয়া অনেক উচ্চ স্তরের ফোমাইট সংক্রমণের মত ঝুঁকি। সুতরাং এটি একটি খারাপ ধারণা হবে।
লকডাউননের পরে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে কান বলেন, বলের উপরে থুথু নিষিদ্ধকরণ খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং গ্রাউন্ডসম্যানদের সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। যদি বলের উপরে থুথু দেওয়া নিষেধ করা হয়, তবে বলের সুইং হ্রাস করবে যা ব্যাটসম্যানদের জন্য পরিস্থিতি আরও সহজ করে দিবে।
ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড বর্তমানে প্রাথমিকভাবে দর্শকশুন্য মাঠে খেলার পরিকল্পনা করছে তবে টেলিগ্রাফ স্পোর্টকে ইসিবি-র ইভেন্ট ডিরেক্টর জানিয়েছে যে বলে থুথু দেওয়া এখন পর্যন্ত তাদের আলোচনার অংশ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা গ্রাউন্ডে এবং আশেপাশের দলগুলিতে একটি মেডিক্যালি জীবাণুমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছি এবং চিকিৎসা পরামর্শের মাধ্যমে এগুলো কতটা কঠোর হবে তা ভেবে দেখা হবে।