স্পট ফিক্সিং যেন পাকিস্তান ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কালের পরিক্রমায় আইসিসি কমাতে চায় স্পটিং ফিক্সিং আর সেখানে নতুন করে তৈরী করে পাকিস্তান। মোহাম্মদ আমির, সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফদের মত ক্রিকেটাররা স্পট ফিক্সিংয়ের শিকার হয়েছেন। তাদের অবশ্য নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে। তবে জাভেদ মিঁয়াদাদ মনে করছেন তাদের ক্ষমা না করে ফাঁসি দেওয়া উচিত।
পাকিস্তানের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় ফিক্সিং হয়ে আছে ২০১০ সালের লর্ডস টেস্ট। যেখানে মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফরা ফিক্সিং করেছেন। আরেক পাকিস্তানি শারজিল খানও নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে পিএসএল খেলেছেন। শারজিল খানের জন্য জাতীয় দলের দরজা খোলা আছে এমন কথা বের হলে আপত্তি তুলেছেন মোহাম্মদ হাফিজ ও শহীদ আফ্রিদি।
তারা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বললেও মিঁয়াদাদের গলা কিন্তু স্পষ্ট। কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান স্পট ফিক্সারদের ফাঁসি চান। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে মিঁয়াদাদ বলেছেন, ‘যে সব খেলোয়াড় স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকবে, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। স্পট ফিক্সারদের ফাঁসি দেওয়া উচিত, কারণ এটি কাউকে হত্যা করার মতোই অপরাধ। তাই শাস্তিটা একই হওয়া উচিত। আর এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, যাতে আর কোনও খেলোয়াড় এই ধরনের কাজ করার কথা চিন্তাও করতে পারবে না।’
স্পট ফিক্সিংয়ের শাস্তি কাটিয়ে পাকিস্তানের অনেক খেলোয়াড় আবারও খেলায় ফিরেছেন। যদিও পিসিবির তাদের ক্ষমা করাটা ঠিক হচ্ছেন না বলে মনে করেন মিঁয়াদাদ, ‘এদের মাফ করে দেওয়া ঠিক হচ্ছে না পিসিবির। যে সব লোকজন তাদের ফিরিয়ে আনছে, তাদের নিজেদের প্রতি লজ্জা হওয়া উচিত।’
সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমার মতে যে সব খেলোয়াড় এই ধরনের অপরাধ করে তারা তাদের পরিবার ও বাবা-মার প্রতিও আন্তরিক নয়। ওদের আত্মাই ভলো না। মানুষের সঙ্গে ওদের কর্মকাণ্ডই ভালো না, তাই এই ধরনের মানুষের বেঁচে থাকা উচিত নয়।’