করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে সবধরনের ক্রীড়া ইভেন্ট। খেলা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছে বোর্ড ও ক্লাবগুলো। আর্থিক ক্ষতি সামাল দিতে খেলোয়াড়দের বেতন কর্তনও করা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাদের খেলোয়াড়দের বেতন কাটছে না।
খেলা না থাকায় আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বার্সেলোনার মত বড় ক্লাবগুলোও খেলোয়াড়দের বেতন কর্তন করছে। একই পথে হাঁটতে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডও। তবে তামিম-মুশফিকদের বেতন কেটে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন।
তিনি জানান, এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও ৫-৬ বছর ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। আমরা এ মুহূর্তে এই লাইনে (বেতন কাটা) চিন্তা করছি না।
নিজামুদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমরা নিশ্চিত যে, আমাদের এ মুহূর্তে বেতন কাটার সিদ্ধান্ত নিতে হবে না। কারণ, আমরা বেশ কিছু সময়ের জন্য টিকে থাকতে পারব এবং আমরা আশা করি সেই সময়ের মধ্যেই সবকিছু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু সবকিছু অনিশ্চিত, তাই আমরা সচেতনতা অবলম্বন করছি। তবে আমরা আমাদের আর্থিক শক্তি সম্পর্কেও অবগত এবং আশা করি এটি আমাদের এই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে যথেষ্ট হবে। সঙ্কটের এ সময়ে আমরা কীভাবে ক্রিকেটার এবং আমাদের অন্যান্য কর্মচারীদের পাশে থাকতে পারি, সে বিষয়ে আমরা কাজ করছি।
এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে থাকা প্রিমিয়ার লিগের ক্রিকেটারদের জন্য ৩০ হাজার ও নারী ক্রিকেটারদের জন্য ২০ হাজার করে টাকা বরাদ্দ করেছে। শুধু ক্রিকেটারদেরই নয়, সেই সাথে স্বল্প বেতনের স্টাফ ও মাঠ কর্মীদের জন্যও অনুদানের ব্যবস্থা করেছে বিসিবি।