প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে থেমে গেছে ক্রীড়াঙ্গন। বন্ধ হয়ে গেছে সকল ইভেন্ট। শুধু তাই নয়, গত ২৩ মে থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে আইসিসির সদর দপ্তর। ফলে কর্মীরা প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন বাসা থেকেই।
এমন পরিস্থিতি থেকে কবে নাগাদ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে তা কারো জানা নেই। অনির্দিষ্টকালের এ অনিশ্চয়তায় ওলট-পালট হয়ে গেছে আইসিসি নির্ধারিত সূচি। তবে আইসিসি বলছে, চলমান বিপর্যয় কাটিয়ে কিভাবে ভবিষ্যতের সূচি করা যায়, তা নিয়ে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে তারা।
করোনভাইরাসের কারণে আইসিসির সদর দপ্তর বন্ধ থাকায় পূর্ব নির্ধারিত সভাটি শুক্রবার (২৭ মার্চ) ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনাভাইরাসের মধ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ভবিষ্যত নিয়ে এ বৈঠক করে আইসিসি।
ওই কনফারেন্সে আইসিসির প্রধান নির্বাহী মানু সোহনি ভবিষ্যৎ টুর্নামেন্ট বা সিরিজ নিয়ে এমন কথা বলেন। তিনি জানান, ‘বিশ্বজুড়ে এখন যা পরিস্থিতি, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিতে হবে।’
বিবৃতিতে আইসিসি জানায়, গোটা বিশ্বে মহামারীর প্রভাব নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে মানু সোহনি বলেন, ‘আমাদের বিস্তৃত ব্যবসায়ের ধারাবাহিকতা এবং আকস্মিক পরিকল্পনা অব্যাহত রেখেছি যা আমাদের দ্রুত বিকশিত বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করবে। যার মধ্যে আমাদের ফিরে পেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইসিসি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতের ইভেন্টগুলো নিয়ে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। চলমান বিপর্যয় সামলিয়ে কিভাবে ভবিষ্যতের সূচি করা যায় এ নিয়ে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে আইসিসি।’
বোর্ড মিটিংয়ে গত বছরের আর্থিক হিসাব তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে চলেছে এবং জুনে লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।
তবে দ্বিপাক্ষীক কোন সিরিজ বাতিল হলে কি করা হবে, সে বিষয়ে আইসিসি এখনও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি। কারণ, করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সিরিজ স্থগিত হয়েছে।