প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাবে থমকে গেছে মানুুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ ভাইরাসের থাবায় স্থগিত হয়ে গেছে বিশ্বের সকল খেলাধুলা। খুব শিগগিরই সব স্বাভাবিক হওয়ার আশা করলেও কেউ জানেন না কবে সব ঠিক হবে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ইংল্যান্ডের পেসার জেমস এন্ডারসন।
ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন ধরে দলের বাইরে রয়েছেন এন্ডারসন। সর্বশেষ চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় দলের হয়ে টেস্ট খেলেছেন তিনি। দলের হয়ে আবারও খেলতে মুখিয়ে রয়েছেন এন্ডারসন। তবে তার ফেরার পথে বাধা হয়ে আছে করোনাভাইরাস।
এন্ডারসন বলেন, ‘আমি কখনও আর ক্রিকেট খেলতে পারবো না, তা ভাবিনি। আমি প্রত্যাশ করছি, আমরা আবারও খেলবো । আমি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার জন্য এখন মুখিয়ে আছি। আশা করি, দীর্ঘদিন আমি খেলতে পারবো এবং আমি সত্যিই এটি উপভোগ করছি এবং প্রত্যকটি মূর্হুতে আমি উপভোগ করছি।’
করোনাভাইরাসের কারণে এখন পুরো ব্রিটেনই লকডাউন। তবে ঘরের মধ্যেই ফিট ধরে রাখতে শারীরিক কসরত করছেন এন্ডারসন। এ লড়াইয়ে তার সঙ্গী সতীর্থ স্টুয়ার্ট ব্রড ও মার্ক উড।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফিটনেস ধরে রাখতে আমরা একসাথে কাজ করছি। ব্রড ও উডের সাথে আমি ব্যয়াম করেছি।’
গত অ্যাশেজ সিরিজে ইনজুরিতে পড়েন এন্ডারসন। ফলে পুরো সিরিজ খেলতে পারেননি তিনি। সুস্থ হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে ফিরলেও আবারও ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যেতে হয়।
সম্প্রতি এন্ডারসনকে ছাড়া শ্রীলঙ্কা সফরে যায় ইংল্যান্ড। তবে করোনাভাইরাসের কারণে সিরিজ শুরুর আগেই সফরটি স্থগিত হয়ে যায়। আগামী গ্রীস্মে পুরোপুরি ফিট হওয়ার আশা ছিল এন্ডারসনের।
তিনি বলেন, ‘আবারও ইনজুরিতে পড়াটা ছিল বড় হতাশা। তবে ভাগ্য ভালো যে ইনজুরিটা পাঁজরে ছিল। এটি যদি পেশীর ইনজুরি হতো, তবে সুস্থ হতে দীর্ঘ সময় লাগতো।’
গত সপ্তাহে নিজ দেশে ২৮ মে পর্যন্ত সকল ধরনের ক্রিকেট স্থগিত করে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। তার এক সপ্তাহ পরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেশের মাটিতে সিরিজ শুরুর সূচি রয়েছে ইংলিশদের। যদি স্থগিতের আপাতত নির্ধারিত সময় পর মাঠে খেলা ফিরে, তবে খেলোয়াড়দের জন্য তা কঠিনই হবে। কারণ মাঠে নামার আগে বেশ কিছুদিন আউটডোরে প্রশিক্ষণ করতে হবে।
এছাড়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও মাঠে ফেরার ব্যাপারে সর্তক এন্ডারসন। পাশাপাশি দর্শকহীন মাঠে ম্যাচ খেলতে রাজি নন তিনি।
টেস্ট ফরম্যাটে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড় এন্ডারসন জানান, নতুন হান্ড্রেড প্রতিযোগিতা দিয়ে আবারও সাদা বলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন।
হান্ড্রেড প্রতিযোগিতার ফ্র্যাঞ্চাইজি ম্যানচেষ্টার অরিজিনালসের দূত হিসেবে আছেন এন্ডারসন। তবে কোন চুক্তি হয়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি ক্রিকেট খেলতে চাই এবং যদি এটি কেবলই ক্রিকেট হয়। যদি এটি হান্ড্রেড বা টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট হয়। আমি এতে জড়িত হতে চাই। যদি গ্রীস্মে কোন লাল বলের খেলা না হয়, তবে সেটা আমার জন্য অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে।’
করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু লকডাউন হওয়ায় হতাশা হলেও সবার সুরক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, ‘নিজেদের ভালো রাখার জন্য মানুষজন অনেক কিছুই বিসর্জন দিচ্ছে। আমি মনে করি, আমরা অল্প কিছু বির্সজন দিচ্ছি, সম্ভবত সবই। সময় বাসায় থাকুন। আমার মনে হয় না, এটি বড় বির্সজন।’