বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রের একটি হোটেল কক্ষে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। শনিবার (২১ মার্চ) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক ভিডিও বার্তায় সাকিব নিজেই এ তথ্য জানিয়েছেন।
সাকিব বলেন, আমি ইউএসএ-তে পৌঁছে সোজা একটি হোটেলে উঠেছি। আমার মেয়ের সাথেও দেখা করিনি। হোটেল কর্তৃৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। আমি যেহেতু বিমান জার্নি করে এসেছি, একটু হলেও রিস্ক আছে। তাই আমি নিজেকে আইসোলেটেড (বিচ্ছিন্ন) করে রেখেছি।
তিনি বলেন, বিমানে অনেক ভয়ে ছিলাম, তারপর চেষ্টা করেছি নিজেকে কিভাবে হাইজিন (পরিচ্ছন্নতা) রাখা যায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখা যায়। তবে আমি যেহেতু ফ্লাই করে এসেছি, একটু হলেও রিস্ক আছে। নিজের বাচ্চার সঙ্গেও দেখা করছি না, আমার জন্য এটা অবশ্যই কষ্টকর ব্যাপার। তারপর সামান্য এ সেক্রিফাইস করতে পারলে আমরা অনেকদূর এগুতে পারবো।
বাংলাদেশে বিদেশ ফেরত নাগরিকদের উদ্দেশ্যে সাকিব বলেন, আমাদের দেশে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, অনেকেই এসেছেন জানি। আমি জানি, আপনারা অল্প সময় নিয়ে ছুটিতে এসেছেন। তবে রিকোয়েস্ট করবো সবাইকে, সামান্য এই নিয়মটুকু (১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকা) যেন মেনে চলেন। কারণ, আমাদের এই সেক্রিফাইসটুকুই পারে আমাদেররকে বাঁচিয়ে রাখতে, সুস্থ রাখতে। আশা করি আমার কথাগুলো শুনবেন এবং মেনে চলার চেষ্টা করবেন।
এছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ে সরকার বা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা সবাইকে মেনে চলার আহবান জানান তিনি।
সাকিব আরও বলেন, আর একটা কথা আমি অবশ্যই বলতে চাই, কেউ প্যানিক হবেন না। প্যানিক হওয়াটা আমার কাছে মনে না ভালো কোন ফল বয়ে আনবে। নিউজে দেখেছি যে, অনেকে ৬ মাসের পর্যন্ত খাবার সংগ্রহ করছেন, আমার ধারণা খাবারের ঘাটতি কখনোই হবে না, ইনশা-আল্লাহ। আমরা কেউ না খেয়ে মারা যাব না। আমরা যেন কেউ প্যানিক সৃষ্টি না করি, কিছু সঠিক সিদ্ধান্তই পারে আমাদের এই বিপদ থেকে মুক্ত করতে।
খুব প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ বা ঘরের বাইরেও বের না হওয়ার পরামর্শ দেন সাকিব আল হাসান। সর্বশেষ সাকিব বলেন, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, নিজের যত্ন নেবেন, পরিবারের যত্ন নেবেন এবং পরিবার ও নিজের সম্পর্কে খেয়াল রাখবেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত ২৪ জন প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন।