বঙ্গবন্ধু ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের উদ্বোধনী দিনে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে হারিয়ে শুভ সূচনা করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড।
রোবাবার (১৫ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পারটেক্সের বিপক্ষে ৮১ রানের জয় তুলে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আবাহানী লিমিটেড।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে টাইগারদের জাতীয় দলের খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিমের সেঞ্চুরিতে ২৮৯ রানের স্কোর গড়ে আবাহানী। ১২৪ বলে ১২৭ রান করা মুশুফকের দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে এ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৮ ওভার ৪ বলে ২০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় পারটেক্স।
ব্যাট হাতে আবাহনীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈদ দুইজনেই শূন্য রানে আউট হয়। দলীয় ৬ রানের দুই ওপেনারকে হারায় আবাহনী। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে নাজমুল হাসান শান্তও ভালো করতে পারেননি। ৩২ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১৫ রান করেন তিনি।
লিটন-নাঈম-শান্ত ব্যর্থ হলেও ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি হাঁকান মুশফিকুর রহিম। ১১১ বলে সেঞ্চুরি হাকানোর পর ১২৭ রানের আউট হন তিনি। ৪৫তম ওভারে জয়নুল ইসলামের বল স্লগ করতে গিয়ে শর্ট মিড উইকেটে ক্যাচ বন্দি হন মুশফিক। তার এ ইনিংসে ১১টি চার ও ৪টি ছয়ের মার ছিল।
মুশফিক ছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৭৪ বলে ৬১ রান করেন। তার এ ইনিংয়সে ৪টা চারের মারের সাথে ২টি ছয়ের মার রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। মাত্র ১৫ বল মোকাবেলা করে ৩৯ রানের অপরাজিত থাকেন তিনি। ফলে ৫০ ওভার শেষে আবাহনীর স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ২৮৯ রান।
বল হাতে পারটেক্সের জয়নুল ইসলাম ১০ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া অধিনায়ক তাসামুল হক ২টি এবং শাহবাজ একটি উইকেট নেন।
২৯০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৮ রানেই প্রথম উইকেট হারায় পারটেক্স। ২০ রানের দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে পারটেক্স। অধিনায়ক তাসামুল হকের সঙ্গে রানের চাকা ঘুরান সায়েম আলম।
সায়েম আলম ব্যক্তিগত ২৫ রানে সাজঘরে ফিরে গেলে রানের চাকা সচল রাখেন অধিনায়ক তাসামুল হক। তবে তিনিও দলীয় ১১০ রানের ফিরে যান তিনি। ৭২ বল মোকাবেলা করে ৪৩ রান করেন তাসামুল। এরপর ২০৭ রানের নবম উইকেট হিসেবে নাজমুল হোসেন মিলন আউট হলে হার সময়ের ব্যাপার হয়ে যায় মাত্র।
শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভার ৪ বলে ২০৮ রানের দশম উইকেট হারায় পারটেক্স। ফলে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ৮১ রানের জয় তুলে নেন আবাহনী। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছে মুশফিকুর রহিম।