দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে লিগটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ডিপিএল’। সারা বিশ্বের মতো করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে নানা সতর্কতামূলক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ঢাকার তিন ভেন্যুতে শুরু হয়েছে জনপ্রিয় এ আসর।
লিগের উদ্বোধনী দিন রোববার (১৫ মার্চ) সকাল ৯টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড ও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব।
এছাড়া বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে লড়ছে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ ও ওল্ড ডিওএইচএস। দিনের আরেক ম্যাচে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা দেশের বেশিরভাগ ক্রিকেটারদের জন্য লিগটি রুটি-রুজির বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কারণে ডিপিএল নিয়ে ক্রিকেটারদের আগ্রহটা সবসময়ই একটু বেশি। তবে এবার করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে দেশের জনপ্রিয় লিগটি শুরু হচ্ছে। করোনাভাইরাস আতঙ্কে থমকে আছে বিশ্বের ক্রিড়াঙ্গন।
করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যে বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জনসমাগম ঠেকাতে মাঠে দর্শক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বিসিবি। এমনকি খেলোয়াড়-সতীর্থদের করমর্দনেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বোর্ড। প্রত্যকটি ভেন্যুতেই ম্যাচ চলাকালীন মেডিকেল স্টাফরা থাকবেন।
বিসিবি প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য সরকার যে পদক্ষেপ ও চিকিৎসা পরামর্শ নিয়েছে, মাঠে তার কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। আমরা ইতোমধ্যে অংশগ্রহণকারী ১২ ক্লাবের সাথে যোগাযোগ করেছি এবং এ বিষয়ে একটি সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্লাবগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যদি কোন খেলোয়াড় অসুস্থবোধ করে বা কোন লক্ষণ দেখা দিলে মেডিকেল দলকে তা জানানোর জন্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিকেট মাঠের একটি স্বাভাবিক নিয়ম করমর্দন এবং আমরা এটি দ্বারা অভ্যস্ত। তবে আমরা করমর্দনের বিষয়টি নিষেধ করেছি। আমরা ক্লাবগুলোকে অনুরোধ করেছি, যাতে তারা খেলোয়াড়দের পরামর্শ দেয় করমর্দন না করে। সাধারণত ঘরোয়া ক্রিকেটে দর্শক উপস্থিতি কমই থাকে। কিন্তু এবার স্টেডিয়ামে দর্শকদের প্রবেশে সীমাবদ্ধ রাখবো।’