জুয়ারির দেওয়া প্রস্তাব গোপন করার অপরাধে বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান দুই বছরের জন্য আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় রয়েছেন। এর মধ্যে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা স্থগিত থাকায় এ বছরের অক্টোবরে মাঠে ফিরতে পারবেন। তবে চলতি বছরে ২৯ অক্টোবরের আগে আইসিসির স্বীকৃত কোন ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না।
সাকিবের বিরুদ্ধে এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সম্প্রতি একটি খবর ভাইরাল হয়েছে। তা হলো- চলতি মাসেই অস্ট্রেলিয়ায় একটি চ্যারিটি ক্রিকেট ম্যাচে ফিরছেন সাকিব। বিষয়টি নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশ কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় স্পোর্টসমেইল২৪.কমও ‘চ্যারিটি ম্যাচে মাঠে ফিরছেন সাকিব’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। যা পরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি হলো, সাকিব আদৌ কি মাঠে ফিরছেন? নাকি অন্য কিছু। বিষয়টি নিয়ে ‘অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব স্পোর্টস অ্যান্ড এডুকেশন’ (এবিএএসই) তাদের ফেসবুক পেইজে সাকিব আল হাসানের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।
ভিডিওতে সাকিব বলেন, ‘আশা করি সবাই ভালো আছেন। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব স্পোর্টস অ্যান্ড এডুকেশনের আমন্ত্রণে ইন্ডিপেন্ডেন্স ডে চ্যারিটি ক্রিকেট ফেস্টিভালে অংশ নিতে আমি আসছি মেলবোর্নে। আশা করি আপনাদের সবার সঙ্গে দেখা হবে।’
সাকিবের ওই বার্তায় ‘চ্যারিটি ক্রিকেট ফেস্টিভালে অংশ নেওয়া’র কথা বলা হলেও তিনি খেলবেন কি না নিশ্চিত করেননি। এছাড়া আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাকিব খেলতেও পারবেন না।
এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবিএএসই দেওয়া হোয়াটস অ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, বিষয়টি নিয়ে কয়েকটি মিডিয়া এলোমেলো সংবাদ প্রকাশ করছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা দ্রুতই একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেব।
এ বিষয়ে ক্রীড়া বিশ্লেষক ফরহাদ টিটো স্পোর্টসমেইল২৪.কমকে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি এবিএএসই সঙ্গে কথা বলেছেন। সাকিব উৎসবের বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। তার চেয়ে বেশি কিছু না, তিনি খেলবেন না।
তিনি আরও বলেন, ২৮ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে বাংলাদেশি-অস্ট্রেলিয়ানদের আয়োজনে সাকিব উপস্থিত থাকবেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত একদিনের উৎসব ও চ্যারিটি টি-টুয়েন্টি ম্যাচে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সাকিব আল হাসানের যোগদান নিশ্চিত। তবে তার উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। ক্রিকেট মাঠের ভেতরেও সব জায়গায় যাওয়ার সুযোগ থাকবে না।
খেলাটি হবে মেলবোর্নের থর্টনে। মেয়ার স্টেডিয়ামে। এ স্টেডিয়াম ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) নিয়ন্ত্রিত, যা আইসিসির অঙ্গ সংগঠন। এ তথ্যটি ম্যাচের প্রধান আয়োজক সংগঠন এবিএএসই-এর সভাপতি নিশ্চিত করেছেন- যোগ করেন তিনি।