বিরাট কোহলির এমন এক সেঞ্চুরি এবং বিশাল ইনিংসের পর ভারত হারতে পারে এমন চিন্তা করাটাই ছিল বোকামি। তবে, দ্বিতীয় ম্যাচের মত তৃতীয় ম্যাচে এসেও যে এভাবে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা ভেঙে পড়বে তা ছিল সত্যিই ভাবনার অতীত।
ভারতীয় রিস্টস্পিনারদের ঘূর্ণি ভেলকিতে দ্বিতীয় ম্যাচের মত কেপটাউনেও ধরাশায়ী স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়ারা অলআউট মাত্র ১৭৯ রানে। ফলে ১২৪ রানের বিশাল জয়ে এই প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টানা ৩ ওয়ানডে জয়ের রেকর্ড গড়লো ভারত। শুধু তাই নয়, এই প্রথম প্রোটিয়াদের মাটিতে সিরিজ হারের শঙ্কায় নেই আর টিম ইন্ডিয়া।
কেপটাউনের নিউল্যান্ডসে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৩ রান সংগ্রহ করে। ১৫৯ বলে অপরাজিত ১৬০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন কোহলি। শিখর ধাওয়ান করেন ৭৬ রান। প্রোটিয়াদের পক্ষে ২টি উইকেট নেন জেপি ডুমিনি।
জবাব দিতে নেমে আগের ম্যাচের মতই যাচ্ছেতাই অবস্থা প্রোটিয়াদের। ৪০ ওভারেই তারা অলআউট ১৭৯ রানে। একাই লড়াই করার চেষ্টা করেন জেপি ডুমিনি। তিনি করেন সর্বোচ্চ ৫১ রান। তরুণ অধিনায়ক মার্করাম করেন ৩২ রান। ২৫ রান করেছেন ডেভিড মিলার।
সিরিজে আরও একবার অপ্রতিরোধ্য দেখা গেলো ভারতের রিস্ট স্পিনার জুটিকে। ইউজবেন্দ্র চাহাল এবং কেদার যাদব- এ দু’জনে মিলে ৪টি করে তুলে নেন প্রতিপক্ষের ৮টি উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন জসপ্রিত বুমরাহ।
নিউল্যান্ডসের জয়ের সুবাদে ভারত ৬ ম্যাচের একদিনের সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল। আর একটি ম্যাচ জিতলেই প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতে ফিরবে ভারত। সুতরাং বাকি তিনটি ম্যাচ প্রোটিয়াদের কাছে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই হয়ে দাঁড়াল। আপাতত ওয়ানডে সিরিজ হারের ভ্রুকুটি ভারতীয় শিবির থেকে দূরে ছুঁড়ে ফেললেন বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং।