টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান না থাকলেও বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে আতঙ্কিত সফরকারী জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশি স্পিনারদের নিয়েই তাদের বেশি ভয়। দেশটির উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রেগিস চাকাবা বলেছেন, সাকিব না থাকলেও নির্ভার হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মাঠে অনুশীলনের সময় চাকাবা বলেন, ‘সাকিব একজন বড় তারকা। তবে সর্বশেষ আমরা যখন এখানে খেলেছি তারপর বাংলাদেশের হয়ে অনেক খেলোয়াড় উঠে এসেছে। সাকিব না থাকলেও বাংলাদেশের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার শক্তি কমেনি। তাই আমরা একটি জায়গায় একমত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের স্পিনারের মোকাবেলা। এটি হবে বড় একটি চ্যালেঞ্জ। তবে ভালো করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
সর্বশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। ওই সময় ১-১ ম্যাচে ড্র হয়েছিল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে সফরকারীরা প্রথম টেস্ট জিতে নিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে সিরিজ ড্র করে। তবে ওই ম্যাচেও তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছিল জিম্বাবুয়ে। এবার ২২ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হতে যাওয়া ম্যাচেও ভালো পারফর্মেন্স প্রদর্শনের আশা করছে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচটিকেই জিম্বাবুয়ে প্রেরণা হিসেবে নিতে চায় বলে জানিয়েছেন চাকাবা। বলেন, ‘আমাদের দরকার সিলেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া ম্যাচের দিকে তাকানো। সেখানে আমরা কিভাবে খেলেছি এবং জয় পেয়েছি। ওই রকম পারফর্মেন্সেরই পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন। আশা করি এবারও সেভাবে খেলে সফলতা লাভ করতে পারব।’
নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ সব সময় শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময় প্রতিদ্বন্দ্বী দল। তবে আমরা শুধু নিজেদের ভালো ফারফর্মেন্সের দিকেই বেশি জোর দিচ্ছি। বাংলাদেশ স্কোয়াড নিয়ে খুব বেশি ভাবতে চাই না।’
উপমহাদেশের বাইরের তথা ভিনদেশি দলগুলো বাংলাদেশের কন্ডিশনকে বেশ কঠিন মনে করলেও জিম্বাবুয়ের জন্য সেটি খুব বেশি প্রযোজ্য নয় বলেই মনে করা হয়। চাকাবা বলেন, ‘আমরা এখানকার কন্ডিশনকে ভয় পাই না। বরং এই মুহূর্তে এ কন্ডিশনকে উপভোগ করছি।’