শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলে প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দিয়েছে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ জাতীয় ক্রিকেট দল। তবে ভারতীয় অনুর্ধ-১৯ দলকে অল্প রানে আটকে রেখেও জয় পাওয়া সহজ ছিল না। কারণ, ভারতীয় যুবারা বাংলাদেশি ব্যাটম্যানদের মনোযোগ নষ্ট করতে প্রতিনিয়ত করে গেছেন নানা ধরনের স্লেজিং।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলীও সে তথ্য জানিয়েছেন। তবে প্রতিপক্ষের করা প্রতিনিয়ত স্লেজিং তিনি মোকাবেলা করেছেন হাসি দিয়ে।
আইসিসি অনুর্ধ -১৯ বিশ্বকাপে আকবরের হাসিটি ট্রেডমার্কে পরিণত হয়েছে। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা বিশেষ করে ফাইনালে যখন ভারতীয়রা তার বিরুদ্ধে তীব্র স্লেজিংয়ে মেতে উঠেছিল তখনো হাসি মুখে দেখা গেছে আকবরকে।
প্রচন্ড চাপের মধ্যেও ফাইনালে অপরাজিত ৪৩ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন আকবর আলী। এ সময় ভারতীয় ক্রিকেটাররা স্লেজিংয়ের মাধ্যমে চেষ্টা করে গেছে তার মনোযোগ ভাঙতে। তবে জবাবে তিনি তাদের উপহার দিয়েছেন ‘এক গাল হাসি’।
বইয়ের পোকা আকবর জানিয়েছেন, তিনি অনেক বইয়ে পড়েছেন যে, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের প্রচন্ড ক্রোধের মোকাবেলা এবং প্রতিশোধের জন্য হাসি হচ্ছে সেরা অস্ত্র।
বাড়ির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার সময় আকবরও তাই বললেন, ‘আমি কোন কোন জায়গায় পড়েছি যে হাসি হচ্ছে সেরা প্রতিশোধ। তারা আমাকে যত বেশী স্লেজিং করেছে আমিও চেষ্টা করেছি হাসি দিয়ে তাদের ওই আচরণের জবাব দিতে।’ এ সময় অন্য খেলোয়াড়দেরকেও উত্তেজনা সামাল দেওয়ার পরামর্শ দেন আকবর।
তিনি বলেন, ‘সবাই যখন কিছুটা উত্তেজিত হয়ে পড়েছিল, তখন আমি মাঠে যতটুকু সম্ভব সেটিকে কমিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। আমি সবার সামনে নিজের অনুভুতি গোপন রাখারও চেষ্টা করি।’
তবে বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশ ও ভারতীয় খেলোয়াড়রা ভালো সময় কাটিয়েছে। বাংলাদেশ দলনেতা বলেন, ‘হোটেলে ফেরার পর আমরা ঘনিষ্ঠভাবেই দুইদিন কাটিয়েছি। তাদের সঙ্গে প্রচুর গল্প গুজব করেছি। ভারতীয় খেলোয়াড় ও কোচ আমাদের প্রশংসা করেছে।’