দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে দুই বছর আগে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। দুই বছর পর ফের দক্ষিণ আফ্রিকা বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার এ দুই ক্রিকেট তারকা।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দর্শকদের বিরূপ আচরণ স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারের স্বাভাবিক খেলার ওপর প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলার জস হ্যাজেলউড। সফরকালে তারা প্রোটিয়া সমর্থকদের কাছ থেকে যেকোন আচরণ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছেন।
সিমীত ওভারের সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া স্কোয়াডের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাচ্ছেন এ দুই ক্রিকেটার। কেপটাউ টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারির দায়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর পর এই প্রথম দেশটিতে সফর করতে যাচ্ছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত বছর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে এবং পরে অ্যাশেজ সিরিজেও স্বাগতিক দর্শকদের কাছ থেকে নেতিবাচক অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন এ জুটি। হ্যাজেলউডের মতে দক্ষিণ আফ্রিকায় আরও বেশি বৈরি পরিবেশের মোকাবেলার জন্য তারা প্রস্তুত রয়েছেন।
সিডনিতে হ্যাজেলউড সাংবাদিকদের বলেন, ‘খেলায় প্রত্যাবর্তনের পর স্টিভ ও ডেভিডকে কিছুটা বৈরি পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। তবে আমি মনে করি না এটি তাদের সামন্যতমও টলাতে পারবে। তারা বরং আগের চেয়েও ভালো করছে। অবশ্য এর আগে এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়নি আমাদের। তবে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে।’
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত মার্চে মাঠে ফেরার পর থেকে দুইজনের খেলার আরও উন্নতি হয়েছে। অ্যাশেজ সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন স্মিথ। অপরদিকে গত সোমবার ২০১৯ সালের দেশসেরা ক্রিকেটারের খেতাব ‘অ্যালান বোর্ডার পদক’ লাভ করেছেন ওয়ার্নার। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মত এ পদক লাভ করেছেন তিনি।
এদিকে নিজ দলকে সমর্থন যোগাতে জাতীয় খেলোয়াড় ইউনিয়নের সদস্যরা দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। তবে হ্যাজেলউডের মতে কোন রকম রক্ষা কবচের প্রয়োজন নেই স্মিথ ও য়ার্নারের। তিনি বলেন, তাদের চেষ্টা থাকবে সামর্থ্যের চেয়েও বেশি কিছু বেশি দেওয়ার।
অসি পেসার বলেন, ‘দর্শকদের নিস্ক্রিয় করতে তাদেরকে ইতিবাচকভাবে ব্যস্ত রাখতে হবে। কয়েক ওভার পার হওয়ার পর তারা এমনিতেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আপনি যদি তাদের সঙ্গে লড়াই করতে চান তখন তারা আরও বেশি আগ্রাসী আচরণ করবে। তাই ঝড়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।’