অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তিন দফার সফরে পাকিস্তারে বিপক্ষে তিনটি টি-টোয়েন্টি, দু’টি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা পাকিস্তান সফরের জট মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুবাইয়ে এক বৈঠকে মিমাংসা হয়েছে। বিষয়টি প্রথমে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানালেও পরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
দুবাইয়ে আইসিসি সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরের মধ্যস্থতায় বৈঠকে বসেছিলেন বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে প্রধান নির্বাহীরা। বৈঠক শেষে সফর নিয়ে একমত হয় বিসিবি ও পিসিবি।
তিন ধাপের প্রথমটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। লাহোরে ২৪, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এরপর দেশে ফিরে আসবে বাংলাদেশ দল।
দ্বিতীয় ধাপে পাকিস্তান সফরে টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। ওই টেস্ট খেলে আবারও দেশের ফিরবে বাংলাদেশ। এবং তৃতীয় ও শেষ ধাপে এপ্রিলে আবারও পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ।
শেষ ধাপের সফরে ৩ এপ্রিল করচিতে একমাত্র ওয়ানডে খেলবে টাইগাররা। ওয়ানডের পর ৫ এপ্রিল থেকে করাচিতে সফরের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
বিসিবির পক্ষ থেকে দেওয়া আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতেও সভাপতি পাপন বলেছেন, ‘আমাদের অবস্থান বোঝার জন্য পিসিবিকে ধন্যবাদ দিতেই হবে। দুই পক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গেছে, তাতে আমরা খুশি এবং আইসিসির এফটিপি নীতিমালার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের এটা একটা উজ্জ্বল উদাহরণ।’
সফর নিশ্চিত হওয়ায় খুশি পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মানিও। এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেছেন, ‘আমি খুবই খুশি যে, আমরা এ সফরের জট খুলতে সক্ষম হয়েছি। এটা দু’টি ক্রিকেট পাগল জাতির জন্যও গর্বের বিষয়। আমি আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। তিনি দুই দেশের মধ্যে ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছেন।’
পিসিবি প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান বলেছেন, ‘এটা দুই দেশের জন্যই উইন-উইন প্রাপ্তি। এ সিরিজ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, সেটা আপাতত কেটে গেছে। আমরা এখন ম্যাচগুলো যেন খুব সুন্দরভাবে আয়োজন করা সম্ভব হয়, সে ব্যাপারে কাজ শুরু করতে পারি। তিনবারে পাকিস্তান সফরে আসবে বাংলাদেশ। এটা হয়তো তাদেরকে খুব প্রশান্তি দেবে, অন্য যেকোন দেশের মত পাকিস্তানে এখন ক্রিকেট খেলা অনেক বেশি নিরাপদ।’