চলমান বঙ্গবন্ধু বিপিএলে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলাররাও দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। বিশেষ করে তরুণ বোলাররা। চট্টগ্রামে মেহেদী হাসান রানা-মুক্তার আলী, খুলনার শহিদুল ইসলাম কুমিল্লার আল-আমিন হোসেন ও রংপুরের মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ নজর কেড়েছেন সবার। তবে নতুন যেসব বোলার ভালো করছেন বা খেলছেন তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি না করার অনুরোধ করেছেন টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকর রহিম।
মুশফিক বলেন, ‘বিপিএলে এখন পর্যন্ত খুব কম ম্যাচ শেষ হয়েছে। এখনও অনেক ম্যাচ আছে। তাদেরকে আরেকটু সুযোগ দেন। তাদেরকে এখনই মাথার ওপর তুলে ফেলবেন না। এটা আমার অনুরোধ থাকবে।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘দেখেন এই তিন দিন আগেই কিন্তু আমরা এই দল নিয়ে জিতেছি। আজকে কিন্তু ২৩২ রান এই দল নিয়েই হয়েছে। আমার মনে হয় তাদেরকে পরবর্তী দুই তিন বছর স্বাধীনভাবে খেলতে দেন। সামনে বিশ্বকাপ আছে, না কি আছে, এগুলো বলে তাদের ওপড় চাপ সৃষ্টি করবেন না। দুই তিন বছর খেলতে দেন, আপনি এমনিই বুঝতে পারবেন কে আসছে না-আসছে। এটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।’
টাইগার সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘শুধু টি-২০ না, টেস্ট এবং ওয়ানডেতেও। এখন তাদের স্বাধীনভাবে খেলতে দেন। এখন তাদের উঠতি বয়স। খেলটা উপভোগ তাদেরকে করতে দেন। তাদেরকে ব্যক্তি কেন্দ্রিক বানাবেন না। তারা দলের জন্য খেলছে, দলের জন্য খেলতে দেন। তারা যেন দেশ নিয়ে চিন্তা করে সেই সুযোগ দেন। যেন পরিপূর্ণ প্যাকেজ হয়ে আসতে পারে। জাতীয় দলে এসে যেন তাদেরকে আবার ফিরে যেতে না হয়।’
ক্যারিয়ার নিয়ে তরুণ বোলারদের ভাবার অনুরোধ করেন মুশফিক, ‘লাইম লাইটে থাকা কিন্তু খারাপ না। তাহলে তাদেরও দায়িত্বজ্ঞানটা বাড়বে। তারা চিন্তা করবে, আমি একটা ভালো জায়গায় আসছি, সামনে কিন্তু আমার ভালো জায়গায় যাওয়ার সুযোগ আছে। এমন না যে একটা বিপিএলে ভালো করল বলে একজন ১০-৫ বছর ধরে পারফর্ম করা ক্রিকেটারকে সরায়ে দিয়ে, নিয়ে আসবেন দলে। হতেই পারে একটা বিপিএল কারো জন্য খারাপ যেতেই পারে।’
উদাহরণ টেনে বলেন, ‘মোস্তাফিজের কথা বললে, হয়তো বেস্ট ফর্মে সে এখন নাই। আজ আমি অধিনায়ক না, আপনি যদি আমাকে বলেন বাংলাদেশের এক ওভারে ৪ রান লাগে আমি এখনও মোস্তাফিজকেই বোলিং দেব। ও ফর্মে থাক আর না থাক। সবাই এমনভাবে বলতেছে যে, সে কোথায় না কোথায় চলে গেছে। এটা মোটেও ঠিক না এমন কারো সাথে তরুণদের তুলনা করা।’
তরুণ বোলাররা উঠে আসছে এটা ক্রিকেটের জন্য ভালো দিক বলে মনে করেন মুশফিক। বলেন, ‘অবশ্যই এটা ভালো লক্ষণ যে তরুন পেসার আসছে। কারণ পেস বোলারদের ইনজুরি সবচেয়ে বেশি হয়। তাদের যদি ব্যাক আপ হিসেবে তৈরি করতে পারি তাহলে এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় ভালো দিক হবে। আমার মনে হয় এ সময় টুকু তরুণদের দেন এবং যারা এতো বছর ধরে সেবা দিয়ে আসছে তাদেরকে সেই সম্মানটুকু দেন।’