অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্সের ঝড়ো দু’টি হাফ-সেঞ্চুরিতে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ১২তম ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২২১ রান করেছে স্বাগতিক চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বিপিএলের ইতিহাসে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় রান। মাহমুদউল্লাহ ২৮ বলে ৫৯ ও সিমন্স ৩৬ বলে ৫৭ রান করেন।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং বেছে নেন ঢাকার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম ওভারে বল হাতে আক্রমণে আসেন মাশরাফি। ওই ওভার থেকে ১২ রান তুলে নেন চট্টগ্রামের দুই বিদেশি ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন্ডন সিমন্স ও শ্রীলঙ্কার আবিস্কা ফার্নান্দো। মাশরাফির দ্বিতীয় ওভার থেকে ১৫ রান তুলে সিমন্স।
মাশরাফির সাথে বোলিং উদ্বোধন করা সালাউদ্দিন শাকিলকেও ছাড় দেয়নি চট্টগ্রামের দুই ওপেনার। প্রথম ২ ওভারে মাশরাফি ২৭ ও শাকিল ১৮ রান দেন। ফলে চার ওভার শেষে ৪৫ রান উঠে চট্টগ্রামের স্কোর বোর্ডে।
পঞ্চম ওভারে বোলিং আক্রমণে পরিবর্তন আনেন মাশরাফি। ডান-হাতি পেসার হাসান মাহমুদ আক্রমণে এসেই ফার্নান্দোকে শিকার করেন। ১৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৬ রান করেন ফার্নান্দো।
ফার্নান্দো ফিরলেও সিমন্সের মারমুখী মেজাজ অব্যাহত ছিল। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে ২৪তম বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সিমন্স। অর্ধশতক করে ৩৬ বলে ৫৭ রানে থামেন তিনি। আজও রান আউট হওয়ার ইনিংসে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন সিমন্স।
১০ দশমিক ২ ওভারে ১০১ রানে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন সিমন্স। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পথ অনুসরণ করেন চট্টগ্রামের পরের দুই ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রান তুলেছেন ঝড়ো গতিতে। তৃতীয় উইকেটে ২৭ বলে ৬২ রান যোগ করেন তারা।
২৪ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪০ রান করে আউট হন ইমরুল। তবে ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত হাসানের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে ২৮ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৯ রান করেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহ যখন আউট হন তখন দলের স্কোর ১৯১ রান। ইনিংসে ১২টি বল বাকি ছিল। এ অবস্থায় দলের স্কোর দু’শ অতিক্রম করান ওয়েস্ট ইন্ডিজের চাঁদউইক ওয়ালটন। শেষদিকে ১৮ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২৭ রান করেন তিনি। উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। ঢাকার হাসান ৫৫ রানে ২ উইকেট নেন।