আগামী বছরের শুরুর দিকে পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু পাকিস্তানের উদ্বেগজনক নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে সেই সিরিজ নিয়ে আছে অনিশ্চয়তা। তবে শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রধান নাজমুল হাসান পাপন বললেন, পাকিস্তান সফরের বিষয়ে সম্মতি দিতে পারে বাংলাদেশ সরকার।
এর আগে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ এবং বাংলাদেশ নারী জাতীয় দল পাকিস্তান সফর করে এসেছে। সেই সফরের আগে বিসিবির একটি নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন দেয়। এ ছাড়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ে একটি প্রতিনিধি দলও পাকিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ইতিবাচক বলে প্রতিবেদন এবং সফরে সম্মত হন।
“যে কোনো দলের জন্য নিরাপত্তাই প্রথম কথা। সেটা অনূর্ধ্ব-১২ হোক বা জাতীয় দল হোক। আমাদের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষক দল পাকিস্তান সফর করে এসেছে এবং সরকারের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছে। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলেই আমরা পাকিস্তান সফরে যাবো। আমি আশা করছি আমরা ইতিবাচক সাড়া পাবো,” শনিবার বিসিবিতে এ কথা বলেন নাজমুল।
২০০৯ সালে পাকিস্তান সফররত শ্রীলঙ্কা দলের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে গত ১০ বছর পাকিস্তানে আর কোনো দল টেস্ট খেলার জন্য সফর করেনি। তবে চলতি মাসেই সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ দিয়ে দীর্ঘ এক দশক পর পাকিস্তানে ফিরেছে টেস্ট ক্রিকেট।
“এখানে অনেকগুলো ব্যাপার আছে; প্রথম হলো নিরাপত্তা ছাড়পত্র পাওয়া। এরপর খেলোয়াড়দের মতামতও গুরুত্বপূর্ণ। তারা পাকিস্তানে খেলতে চায় কি না সেটাও আমাদের দেখতে হবে। এরপর বোর্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ও আছে। সব কাজই অবশ্য শেষের দিকে,” যোগ করেন নাজমুল।
এ সময় নাজমুল হাসান আরো বলেন, যদি কোনো ক্রিকেটার পাকিস্তান সফরে না যেতে চায়, তবে বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো চাপ প্রয়োগ করা হবে না। যদি বেশির ভাগ ক্রিকেটারই পাকিস্তান সফরে অসম্মতি জানায়, সে ক্ষেত্রে বিকল্প দল পাঠানো হবে কি না, সে বিষয়ে অবশ্য কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি বিসিবি প্রধান।
আসন্ন সফরটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি টেস্ট এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা আছে বাংলাদেশের। এই সফরের একটি টেস্ট দিবা-রাত্রির হতে পারে। পাকিস্তান বোর্ড ইতোমধ্যেই বিসিবিকে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও বাংলাদেশ এখনো এই প্রস্তাবে কোনো সাড়া দেয়নি।