দরজায় কড়া নাড়ছে দক্ষিণ এশিয়ার অলিম্পিক খ্যাত এসএ গেমস। ৯ বছর পর আবারও গেমসের অন্যতম আকর্ষণীয় ইভেন্ট ক্রিকেট ফিরে এসেছে। ১ থেকে ১০ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমসের ১৩তম আসর।
এসএ গেমসে এবারই প্রথমবারের মত নারীদের ক্রিকেট গেমসে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগেই পদক জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও এসএ গেমসে পুরুষ দলের ম্যানেজার হাবিবুল বাশার সুমন।
২০১০ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একাদশ এসএ গেমসে প্রথমবারের মত পুরুষদের অনূর্ধ্ব-২১ ক্রিকেট ইভেন্ট যুক্ত হয়েছিল। ওই আসরের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে পরাজিত করে স্বর্ণ পদক জয় করেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। এবার পুরুষদের প্রতিযোগিতা কাঠমান্ডুতে ও নারীদের বিভাগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে পোখারায়।
ক্রিকেটীয় ক্যারিয়ারে জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও অন্যান্য দায়িত্বে থেকে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণের সুযোগ হলেও এবারই প্রথমবারের ম্যানেজার হিসেবে একটি গেমসে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছসিত সুমন। একটি গেমসে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বড় একটি ক্রীড়াযজ্ঞের আবহ যেমন পাওয়া যায় তেমনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ক্রীড়াবিদদের সাথে সাক্ষাতের একটি ক্ষেত্রও তৈরি হয়।
বিষয়টি নিয়ে বেশ আনন্দ দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি নিয়ে আমি দারুণ ‘এক্সাইটেড’। এমন একটি সুযোগ পাব ভাবতেও পারিনি। বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জিত হবে, এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। বিশেষ করে শুধুমাত্র ক্রিকেট নয় অন্যান্য ইভেন্টের খেলা দেখার সুযোগ পাব। সত্যিই বিষয়টি বেশ আনন্দের। আশা করছি নেপালে দারুণ কিছু সময় কাটবে।
সুমন বলেন, আগেরবারের পদক অবশ্যই ধরে রাখার চেষ্টা থাকবে। চলমান ইমার্জিং কাপ এখানে আমাদের সহযোগিতা করবে বলেও আমি বিশ্বাস করি। ইমার্জিং কাপ থেকে বাছাই করে মূলত দল নির্বাচন করা হবে বলে আমরা মনে করছি। পুরুষদের ম্যাচগুলো কাঠমান্ডুতে এবং নারীদের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে পোখারায়।
তিনি আরও বলেন, এক্ষেত্রে পোখারার অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছুটা হলেও আমাদের সমস্যায় ফেলতে পারে। তবে যেহেতু নারীদের দলটি পুরোপুরি জাতীয় দল, তাই তাদের নিয়ে আমরা দারুণ আশাবাদী।
৩০ নভেম্বর নেপালের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।