চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব। তবে পাঁচ বছরের মধ্যে দুই বছরের শাস্তি স্থগিত রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিসিবির এক সভায় শাহাদাতের বিরুদ্ধে এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পাঁচ বছরের শাস্তির মধ্যে আবার দুই বছর স্থগিত রাখা হয়েছে। অর্থাৎ মূল শাস্তি পাঁচ বছর হলেও প্রথম তিন বছর বিসিবির অধীনে কোনো ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না শাহাদাত হোসেন।
জাতীয় লিগ টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান মিনহাজুল আবেদিন নান্নু গণমাধ্যমকে বলেন, শাহাদাত হোসেনকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম তিন বছর সে বিসিবির অধীনে কোনরকম ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবে না। পরের দুই বছর সে কড়া নজরদারিতে থাকবে। তখন কোনরকম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে পুরো ৫ বছর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে।
রোবাবর (১৭ নভেম্বর) খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ঢাকা বিভাগের হয়ে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন সতীর্থ আরাফাত সানি জুনিয়রকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন শাহাদাত। সেই অপরাধে প্রাথমিকভাবে তাকে চলমান এনসিএল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। তার দুই পর মঙ্গলবার আনুষ্ঠারিকভাবে তার বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণা করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এক পাশে বল করার সময় আরাফাত সানি সঠিকভাবে বল করতে ব্যর্থ হচ্ছিলেন। এতেই তিনি তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ঝাপিয়ে পড়েন এবং মারধর করতে থাকেন। পরে সতীর্থরা সানিকে উদ্ধার করে।
বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির একজন কর্মকর্তা জানান, অপরাধ স্বীকার করার পর শাহাদাতকে খুলনা থেকে ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়। এটি বিসিবির আচরণ বিধির ৪- লেবেলের অপরাধ।