ক্রিকেটে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালো ছাড়া একটি দেশের ক্রিকেটাঙ্গনে কতটা প্রভাব বিস্তার করে তা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ টের পেয়েছে। টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান জুয়াড়িদের প্রস্তাবে সাড়া না দিলেও তথ্য গোপন করার অপরাধি এক বছরের জন্য সিষিদ্ধ হেয়েছেন। ফলে আগামী টি-২০ বিশ্বকাপে তাকে পাবে না বাংলোদেশ।
দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটের ম্যাচ পাতানো নিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছিল আইসিসি। সেই ঘটনায় নিষিদ্ধ হয়েছিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি জয়সুরিয়া। এবার সেই শ্রীলঙ্কাই নিতে যাচ্ছে এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ম্যাচ পাতানোকে ফৌজদারি আইনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার প্রস্তাব পাস করেছে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট। ফলে ম্যাচ পাতানোর দায়ে কেউ অভিযুক্ত হলে তার সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ পাতানোর ইবষয়ে তদন্ত করে আকসু। তদন্তে বেরিয়ে আসা অনেক তথ্যের পাশাপাশি তদন্তকাজে সাহায্য না করায় ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন জয়সুরিয়া।
দেমটির পার্লামেন্টে শ্রীলঙ্কা ক্রীড়াঙ্গনকে ফিক্সিং থেকে বাঁচাতে একটি বিল প্রস্তাব করএছন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী হারিন ফার্নান্দো। তার প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন সংসদ সদস্য ও সাবেক লঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা। এছাড়া সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাসও হয়েছে।পার্লামেন্টে বিলটি পাস হওয়ায় এখন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তা আইনে পরিণত হবে।
এদিকে শুধু ক্রিকেট নয়, দেশটির সব ধরনের খেলাতেই ম্যাচ পাতানোর ইস্যুকে দেশের ফৌজদারি আইনের আওতায় আনার প্রস্তাব তোলা হয়। বলা হয়, অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।