সিরিজ জয়ের ম্যাচে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতেই ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে ৩০ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করলো রোহিত শর্মার ভারত।
জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত ছিল বাংলাদেশের। তবে সেটি আর হলো না। বাংলাদেশ শিবিরে সেই পুরোনো রোগ, ব্যাটিং ব্যর্থতা। ব্যাট হাতে ৪৮ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮১ রান করেন মোহাম্মদ নাইম। মূলত তার ব্যাটেই জয়ে আশা দেখেছিল বাংলাদেশ। তবে আর হয়নি। কারণ, নাইম ছাড়া বাকি সবাই ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন।
নাইমের সাথে ওপেনার হিসেবে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে লিটস দাসও হতাশ করেন। ৮ বলে মাত্র ৯ রান করেন ফেরেন সাজঘরে। এরপর ব্যাট হাতে প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার। সৌম্য আউট হওয়ার পর নাইমের সাথে ভালো একটি জুটি গড়েন মোহাম্মদ মিঠুন।
নাইমের পর একমাত্র মিঠুনই রানের খাতা দুই অংকের ঘরে নিয়ে যেতে পেরেছেন। তবে ২৯ বল মোকাবেলা করে ২৭ রানের বেশি করতে পারেননি লিটন। তার এ ২৭ রানের ২টি চারের মার ও একটি ছয়ের মার রয়েছে।
লিটন আউট হওয়ার পর বাকি সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে। লিটন আউট হওয়ারপর ব্যাট হাতে মাঠে নামা মুশফিকুর রহীমও ফেরেন শূন্য রানে। বাকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১০ বলে ৮, আফিফ ১ বলে শূন্য, আমিনুল ইসলাম ৯ বলে ৯, শফিউল ৬ বলে ৪, মোস্তাফিজ ৩ বলে ১ এবং আল-আমিন শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন।
ভারতের বল হাতে একাই ৬ উইকেট নিয়েছেন ডিপক চাহার। ৩.২ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান তুলে নেন বাংলাদেশের ৬টি উইকেট। এছাড়া যুবি ৩টি এবং বাকি একটি উইকেট নিয়েছেন চাহাল।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারতি ২০ ওভারে ১৭৪ রান করে ভারত। ব্যাট হাতে ভারতের অধিনায়ক রোহিম শর্মা ব্যর্থ (৬ বলে ২ রান) হলেও বাকিরা শাসন করে বাংলাদেশের বোলারদের।
ব্যাট হাতে রাহুল ও আইয়ার দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। তারা দুজনে যথাক্রমে ৫২ ও ৬২ রান করেন। এছাড়া পান্ডিয়া ২২ রানে অপরাজিত থাকেন।
এদিকে ১৮তম ওভারের শেষ বলে শফিউলকে ও শেষ ওভারের প্রথম দু’বলে যথাক্রমে মোস্তাফিজুর-আমিনুলকে শিকার করে হ্যাটট্টিক পূর্ণ করেন ভারতের চাহার। ফলে ম্যাচ সেরা পুরষ্কারও পেয়েছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত : ১৭৪/৫, ২০ ওভার (আইয়ার ৬২, রাহুল ৫২; সৌম্য ২/২৯)
বাংলাদেশ : ১৪৪, ১৯.২ ওভার (মোহাম্মদ নাইম ৮১, মিঠুন ২৭; ডিপক চাহার ৬/৭)
ফলাফল : ভারত ৩০ রানে জয়ী
সিরিজ : ২-১ ভারতের সিরিজ জয়।