দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথমটিতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ ম্যাচটি। এর আগে এখানে ১৬টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তাই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই ভেন্যুতে নিজেদের ১৭তম ম্যাচ খেলতে নামবে। ১৭টি ম্যাচের মাত্র বাংলাদেশ জয় পেয়েছে ১টিতে।
২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮৬ রানে জয় পায় তারা। পাঁচটি টেস্ট ড্র ও ১০টি ম্যাচে হারের স্বাদ নেয় টাইগাররা। এ ভেন্যুতে বাংলাদেশ সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেছে ২০১৭ সালের ৪ সেপ্টেম্বর। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐ টেস্টটি চার দিনেই ও ৭ উইকেটে হারে টাইগাররা।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ইংল্যান্ডের। ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৫৯৯ রান করেছিল ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত ঐ সিরিজের প্রথম টেস্টটি ১৮১ রানে জিতেছিল ইংল্যান্ড।
এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার। ২০১৪ সালে ৩২টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪৮২ বলে ৫৫১ মিনিট ক্রিজে ব্যাট করে ৩১৯ রান করেন সাঙ্গা। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।
এখানে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেন মোমিনুল হক। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৪ বলে ১৮১ রান করেন তিনি। তার ৩৭৭ মিনিটের ইনিংসে ২৭টি চার ছিল। ঐ ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল।
চট্টগ্রামের এই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১৩ ম্যাচের ২৩ ইনিংসে ৯৯৮ রান করেন তিনি। এর মধ্যে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তামিম ইকবালের। ১৩ ম্যাচের ২৫ ইনিংসে ৮০৩ রান রয়েছে তামিমের। ১৪ ম্যাচের ২৫ ইনিংসে ৭০৭ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে সাকিব আল হাসান।
ভেন্যুটিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের সাকিব। ১৪ ম্যাচে ৫০ উইকেট শিকার রয়েছে তার। সেরা বোলিং ফিগারও সাকিবের। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ দশমিক ৫ ওভার বল করে ৩৬ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসে সাকিবের দুর্দান্ত বোলিং-এর পরও মাত্র ৩ উইকেটে ম্যাচ হেরেছিল টাইগাররা।
সাগরিকার পাড়েই অবস্থিত এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ জুটির রান-৪১৫। ২০০৮ সালে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪১৫ রান করেন গ্রায়েম স্মিথ ও নিল ম্যাকেঞ্জি। ঐ ম্যাচে ইনিংস ও ২০৫ রানের ব্যবধানে জিতেছিল প্রোটিয়ারা।