ভারতীয় জুয়াড়ির কাছ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন রাখার অপরাধে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা দুই বছরের জন্য হলেও এক বছর পরেই তিনি খেলতে পারবনে। কারণ, সাকিবের নিষেধাজ্ঞার এক বছর স্থগতি রাখা হয়েছে।
আইসিসি যেদিন (২৯ অক্টোবর, মঙ্গলবার) সাকিব আল হাসানকে নিষিদ্ধ করেন সেদিন সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছিলেন তিনি। তবে সেখানে অফিসিয়াল বক্তব্যে লিখিত কিছু কথা বলেছিলেন সাকিব।
## দুই বছরের জন্য সাকিবকে নিষিদ্ধ করলো আইসিসি
নিষেধাজ্ঞার চারদিন পর মুখ খুললেন নিষিদ্ধ সাকিব আল হাসান। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইংরেজিতে বিস্তারিত কথা বলেছেন।
সাকিবের স্ট্যাটাস (বাংলায়)
‘আমার সকল ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদের উদ্দেশ্যে বলছি, শুরুতেই আমি বলতে চাই আপনাদের নিঃশর্ত ভালোবাসা ও অকুণ্ঠ সমর্থনে আমি সত্যিই আবেগাপ্লুত। বিশেষ করে গত কয়েকটা দিন আমার এবং আমার পরিবারের জন্য খুবই কঠিন ছিল। এ কয়েক দিনে আমি আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছি যে, নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করা আসলে কতটা গর্বের।
এ বিষয়ে আমি আমার সকল সমর্থকদের বলবো, ধৈর্য ধারণ করুন। বিশেষ করে যারা আমার ওপর আসা নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন।
আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে, আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট যে তদন্তটা করেছে, এটা পুরোপুরি গোপন ছিল এবং এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) জানতে পেরেছে আমার কাছ থেকেই। আমাকে নিষিদ্ধ করার কয়েকদিন আগে।
এরপর থেকে বিসিবি আমাকে অনেক সাহায্য করেছে এবং আমার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করেছে। এ কারণে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি বুঝতে পারছি কেন অনেক মানুষ আমাকে সাহায্য করতে চাইছে। আমি তাদের এ ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানাই।
যাই হোক, এটা একটা প্রক্রিয়া ছিল এবং আমি আমার শাস্তি মেনে নিয়েছি। কারণ, আমার মনে হয়েছে এটা করাই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।
এখন আমার পুরোপুরি ধ্যানজ্ঞান আবারও ক্রিকেট মাঠে ফেরা এবং ২০২০ সালে বাংলাদেশের হয়ে খেলা। তার আগ পর্যন্ত আমার জন্য দোয়া করবেন এবং হৃদয়ে রাখবেন। সবাইকে ধন্যবাদ।’