বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ধর্মঘট ডাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন। তবে আন্দোলনরত ক্রিকেটাররা নতুন করে ১৩ দফা দাবি পেশ করেছেন।
বুধবার দুপুরে পরিচালক নাইমুর রহমান দুর্জয়কে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন বোর্ড সভাপতি। এরপর বিকেলে বিসিবি কার্যালয়ে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনার জন্য অপেক্ষা করেন তারা। তবে ক্রিকেটাররা মিরপুরে নয় গুলশানে একটি হোটেলে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন।
গুলশানের হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে সাকিব-তামিম উপস্থিত থাকলেন তারা কথা বলেননি। তাদের মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান কথা বলেন। সেখানেই নতুন করে দুটি দাবি বাড়িয়ে মোট ১৩ দফা দাবি জানানো হয়।
ক্রিকেটারদের ১৩ দফা দাবি হলো
১. কোয়াবের বর্তমান কমিটিকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
২. ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আগের মতো আয়োজন করতে হবে।
৩. এ বছর না হলেও পরের বছর থেকে আগের মতো বিপিএল টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে। স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য বাড়াতে হবে।
৪. প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ফি ১ লাখ করতে হবে। গোটা বছর কোচ-ফিজিও দিতে হবে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রতি বিভাগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫. ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো মানের বল দিতে হবে। ডিএ ১৫০০ টাকায় কিছু হয় না; তাই বাড়াতে হবে। ট্রাভেলে বিমানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভালো মানের হোটেল হতে হবে।
৬. চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা ও বেতন বাড়াতে হবে।
৭. দেশী সব স্টাফের বেতন বাড়াতে হবে। কোচ থেকে গ্রাউন্ডস ও আম্পায়ার, সবার বেতন বাড়াতে হবে।
৮. ঘরোয়া ওয়ানডে বাড়াতে হবে। বিপিএলের আগে আরেকটি টি-২০ টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে হবে।
৯. ঘরোয়া ক্যালেন্ডার নির্দিষ্ট করতে হবে।
১০. বিপিএলের পাওনা টাকা সময়ের মধ্যে দিতে হবে।
১১. ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দুটোর বেশি খেলা যাবে না, এ নিয়ম তুলে দিতে হবে। সুযোগ থাকলে সবাই খেলবে।
১২. ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনায় আমরা স্বচ্ছতা চাই। এর একটা ভাগ আমরা চাই।
১৩. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল ভালো করছে। নারীদের ক্ষেত্রেও তাদের ন্যায্য হিসাব দিতে হবে।