বেতন-ভাতাসহ নানা বৈষম্য নিয়ে সাকিব-তামিমদের ১১ দফা দাবি নিয়ে ডাকা ধর্মঘটের পেছনে অন্য কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন। বাংলাদেশ ক্রিকেটাঙ্গনে হঠাৎ অনাকাঙ্ক্ষিত ধর্মঘটের বিষয়ে মঙ্গলবার দীর্ঘ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিসিবি সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই একটি চক্র কাজ করছে। এর আগেও তারা একটি ষড়যন্ত্র করেছিল, আর এটা (ধর্মঘট) দ্বিতীয়। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি। ধর্মঘটের বিষয়টি আমাকে আঘাত দিয়েছে।
পাপনের মতে, এর পেছনে বড় কোনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যে ষড়যন্ত্রের কারণে তারা (সাকিব-তামিমরা) বিসিবির কাছে দাবিগুলো না তুলে মিডিয়ার কাছে বলেছে। এতে তারা প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে। দেশের ক্রিকেটের ইমেজ নষ্ট করেছে। দেশের ইমেজ নষ্ট করেছে।
বিসিবি সভাপতি বলেন, খেলোয়াড়রা যদি খেলতে না চায় তারা খেলবে না। এতে তাদের কী বেনিফিট আমি বুঝি না। দুইদিন পর ক্যাম্প, তারা আসতে চাইলে আসবে। ভারতে যদি যেতে চায় তাহলে যাবে। টাকার জন্য ধর্মঘটে, এটা বিশ্বাস করতে পারছি না। ধর্মঘটের পেছনে কোনো কারণ আছে। এগুলো একটা পরিকল্পনানার অংশ।
ক্রিকেটারদের বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত তারা আসেনি। দু’তিনজনকে ফোন করা হলেও তারা ফোনও রিসিভ করছে না। ক্রিকেটের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। কিছু মিডিয়াও আছে। একটা লোক আছে যে মিথ্যা কথা বলে, আমি তিনবার প্রমাণ করলাম সে মিথ্যা কথা বলে। কিন্তু তাকে নিয়েই ফোকাস। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে অচল করতে একটা ষড়যন্ত্র চলছে, এটা অনেকেই জানেন।
নাজমুল হাসান পাপন বলেন, বিসিবিকে আক্রমণ করে, ডাইরেক্টরদের আক্রমণ করে বাইরে পাঠানো, বাইরে পাঠিয়ে বহুত চেষ্টা করেছে আইসিসি থেকে স্যাংকশন আটকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। জিম্বাবুয়ের মতো আমাদেরও ব্যান (বাতিল) করে দাও ৬ মাস, ১ বছর। ওটা যখন পায়নি তখন এটা হলো, দ্বিতীয় কৌশল। সেকেন্ড কৌশল চলছে। ইন্ডিয়া ট্যুরটায় যদি কোনো রকমে না যায় তাহলে আইসিসির কী একটা অ্যাকশন হবে।