জাতীয় ক্রিকেট লিগকে (এনসিএল) সামনে রেখে শুরু হয়েছে খেলোয়াড়দের বিপ টেস্ট (ফিটনেস পরীক্ষা)। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ঘরোয়া এ ক্রিকেটের জন্য বিপ পরীক্ষার সর্বনিন্ম স্তর বেঁধে দিয়েছে ১১ পয়েন্ট। যেটি পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণে আগ্রহী বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটার।
ক্রিকেটারদের শারীরিক ফিটনেসকে সংহত করার লক্ষ্যে এবারের এনসিএলে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়দের বিপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে বিসিবি। একই সঙ্গে এবার এর স্তরকেও ৯ থেকে ১১ তে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বোর্ডের এ সিদ্ধান্তে বিষ্ময় প্রকাশ করেন বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটার। তাদের অভিযোগ বিপ টেস্টের প্রস্তুতির জন্য তারা পর্যাপ্ত সময় পাননি। নতুন এ সিদ্ধান্তের খবর তারা জেনেছে কয়েকদিন আগে। খেলোয়াড়দের এ মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই মঙ্গলবার ( ১ অক্টোবর) বিসিবির স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশন কোচ তুষার কান্তি হাওলাদারের তত্ত্বাবধানে এনসিএলের কিছু খেলোয়াড়ের বিপ টেস্ট করানো হয়েছে।
তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই সর্বনিন্ম স্তর ১১ পূরণ করতে পারেনি। আর সিনিয়র খেলোয়াড়দের একটি অংশ এর ধারে কাছে যেতেই ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের মধ্যে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি ও আব্দুর রাজ্জাক। যারা ১০ এর নিচেই আটকে গেছেন।
এ বিষয়ে তুষার কান্তি বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো। তারা আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো করেছে। অনেকে যদিও খুব একটা ভালো করেনি। তবে এটি স্বাভাবিক। সবাই একই গতিতে দৌঁড়াতে পারে না। কারণ তারা ভিন্ন ভিন্ন হাড় ও পেশী নিয়ে জন্মেছে।
পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষায় সর্বোচ্চ বিপ পাওয়া গেছে ১২.৭, আর সর্বনিন্ম ছিল ৯.৬ বা তারও কম। বিপ টেস্টে ১১ না হওয়া পাওয়া পর্যন্ত কোন খেলোয়াড় এনসিএলে খেলার সুযোগ পাবে না। সর্বন্মি লক্ষ্য পূরণ না করা পর্যন্ত খেলোয়াড়রা এনসিএলে খেলার সুযোগ পাবেন না।