শুরু হচ্ছে শীর্ষস্থানীয় প্রথম শ্রেণির ঘরোয়া ক্রিকেট জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। ভারতের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টে দেশের প্রায় সব তারকা ক্রিকেটার অংশ নেবে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের অংশ হিসেবে নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এর প্রস্তুতি হিসেবে এ মৌসুমে এনসিএলের চেয়ে আর বড় কোন টুর্নামেন্ট নেই। যে কারণে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিমের মত দেশের তারকা ক্রিকেটাররা অংশ নিতে যাচ্ছে এনসিএলের প্রথম চার রাউন্ডে।
দীর্ঘ চার বছর পর এনসিএলে খেলতে যাচ্ছেন টাইগার দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম ২০১৭ সালে একবার মাত্র এ আসরে খেলেছেন।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, এবারের মৌসুমের মূল লক্ষ্য এ টুর্নামেন্টকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তোলা। যেখানে ফিটনেসের বিষয়টিকে আলাদা গুরুত্ব দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হবে এনসিএল। এনসিএল সংক্রান্ত টুর্নামেন্ট কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টটিকে কিভাবে আরও আকর্ষণীয় ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করা যায় সে বিষয়েও কথা হয়েছে। এ মুহূর্তে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দেরও পাওয়া যাচ্ছে। তারা নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবেন।
এদিকে জাতীয় দলের বাইরে থাকা সিনিয়র খেলোয়াড়রা বিপ টেস্টের বর্তমান মাত্রা নিয়ে আপত্তি তুলেছে। যেটি ৯ থেকে ১১ তে নিয়ে আসা হয়েছে। খেলোয়াড়দের ফিটনেস পরীক্ষার প্রধান ধাপই হচ্ছে এ বিপ টেস্ট। সিইও অবশ্য বলেছেন, ফিটনেসের বিষয়টিকে তারা গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আমরা যেটি ধার্য্য করেছি সেটিই হচ্ছে ফিটনেসের সঠিক মান। এটি দেখভালের দায়িত্বে থাকবেন নির্বাচকরাই। তারাই বিবেচনা করবেন কোন খেলোয়াড় ফিট এবং কোনজন ফিট নন। বৈঠকে খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে। এ কারণেই আমরা এ বিষয়টিকে বেশি জোর দিচ্ছি।
দেশের চারটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে এনসিএলের ম্যাচ। ভেন্যুগুলো হলো- ফতুল্লাহর খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম, মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম ও খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম।
নিয়মানুযায়ী দুই স্তরের এ টুর্নামেন্টের শীর্ষ দল ওপরের ধাপে ওঠে যাবে এবং তলানীর দলের অবনমন ঘটবে। নিজাম উদ্দিন বলেন, গত আসরে যে ধরনের উইকেট ব্যবহৃত হয়েছিল তেমন উইকেটেই অনুষ্ঠিত হবে এবারের টুর্নামেন্ট। গত আসরে উইকেট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল খেলোয়াড়রা।
এবার যে ম্যাচ ফি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে না সেটিও জানিয়ে দেন বিসিবির এ কর্মকর্তা। বলেন, আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে ম্যাচ ফি বাড়িয়েছি। এ মৌসুম শেষেই আমরা বোর্ড সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব। সেখানেই সিদ্ধান্ত হবে ফি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে কি-না।