বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো আর পেস বোলিং কোচ চার্লস ল্যাঙ্গাভেল্ট এসেছেন কদিন আগেই। দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তারা। শুরু করেছেন কাজও। তবে দক্ষিণ আফ্রিকান এই দুই কোচ স্বদেশি ফিল্ডিং কোচকে সঙ্গে পাননি।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক অবশ্য নতুন নিয়োগে দায়িত্ব পাননি। তিনি আগেই ছিলেন টাইগারদের সঙ্গে। ছুটিতে দেশে গিয়েছিলেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান। শুক্রবার ফিরে শনিবার কাজে যোগ দিয়েছেন। এদিন তিনি বাংলাদেশের ফিল্ডারদের বিষয়ে কথা বলেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন উন্নতির চেষ্টা করছি। মৌলিক জায়গায় কিছু খামতি আছে। আমরা সেসব জায়গা শোধরানোর চেষ্টা করছি। বিশ্বকাপে আমাদের বেশ কিছু ভালো খেলা গেছে, আবার কিছু ম্যাচ খারাপ গেছে, কিছু ক্যাচ পড়েছে। সবাই জানে সব। সব জেনেই উন্নতির চেষ্টা করছে।’
ফিল্ডিং দল হিসেবে দশে কত নম্বর পাচ্ছে বাংলাদেশ? সংস্করণ ভেদে সেটা বিচার করতে গিয়ে কোচ বললেন, ‘একেক সংস্করণে একেক রকম হবে। টি-টোয়েন্টিতে আমি দশে সাড়ে ছয় দিতে চাইব এই মুহূর্তে। ওয়ানডেতে দিব সাড়ে সাত। আর টেস্টে দশে দিব ৭। এখানে উন্নতির অনেক জায়গা আছে, আবার বেশ কিছু জায়গায় আমরা ভাল করছি।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে তাদের ফিল্ডিং নিয়ে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তার যৌক্তিক কারণও ছিল। যেমন- গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব ম্যাচেই ক্যাচ পড়েছে, যথেষ্ট ক্ষিপ্রতার অভাবে বেরিয়েছে প্রচুর রান। বিশ্বকাপে জেসন রয়, ডেভিড ওয়ার্নার, রোহিত শর্মার মতো ব্যাটসম্যানদের সহজ ক্যাচ ফসকেছে ফিল্ডারদের হাত থেকে। জীবন পেয়ে এরা প্রত্যেকেই সেঞ্চুরি করে পুড়িয়েছেন বাংলাদেশকে। হাস্যকর ভুলে সহজ রান আউট মিস করে কেইন উইলিয়ামসনকে জীবন দিয়েও ভুগেছিল বাংলাদেশ। আউটের সুযোগ আর ক্যাচ ফসকানো ছাড়াও ফিল্ডিং মিসের মহড়া ছিল বেশ দৃষ্টি কটু। বিশ্বকাপের পর শ্রীলঙ্কা সফরেও বদলায়নি অবস্থা।