জম্মু-কাশ্মীরে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ঘরোয়া টুর্নামেন্ট থেকে নাম তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্যের ক্রিকেট টিম। ক্রিকেট মেন্টর ইরফান পাঠান সোমবার বলেছেন, বোর্ড তাদের সাহায্যের যাবতীয় আশ্বাস দিয়েছে। ৩৭০ ধারা বিলোপের পর থেকেই কাশ্মীরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপরও নানা বিধি-নিষেধ ছিল। এর ফলে ভুগতে হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর টিমকে।
ইরফান পাঠান বলছেন, ‘আশা করি, সামনের মৌসুমে এর প্রভাব থাকবে না। আমার সঙ্গে বোর্ডের কথা হয়েছে। বোর্ড সব সময় আমাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। নিশ্চয়ই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ভবিষ্যতে। যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে বোর্ড সাহায্য করবে। হয়তো অন্য কোথাও গিয়ে আমাদের প্র্যাক্টিস করতে হতে পারে।’
ভিজি ট্রফি থেকে নাম তুলে নিতে হয় জম্মু-কাশ্মীর টিমকে। কারণ, তখন প্লেয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। কারণ, সে সময় উপত্যকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল। পাঠান বলছেন, ‘আমরা ভিজি ট্রফিতে খেলতে যাচ্ছি না। আমরা টিম পাঠাতে চেয়েছিলাম। তার জন্য প্রস্তুতি দরকার ছিল। কিন্তু আমরা তা পারিনি। আমরা ১৪ জুন থেকে ক্যাম্প করি। প্রায় এক মাস ট্রেনিং করি। ভারতীয় টিমের সঙ্গে কাজ করেছেন, এমন এক ট্রেনার আমাদের টিমের সঙ্গে কাজ করেন। আমাদের কোচও প্রচুর কাজ করেছে ছেলেদের ফিটনেস বাড়াতে। কিন্তু যখন ম্যাচ শুরু হলো, তখন আমাদের ট্রেনিং বন্ধ করতে হলো। কারণ, তখন কারফিউ চলছে। তাই প্লেয়ারদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতে হলো।’
নিজেদের প্র্যাক্টিসের মধ্যে হঠাৎ, একদিন ভারতের আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানরা এসে জানালেন যে, উপত্যকায় ক্রিকেটের অনুশীলন বন্ধ। পরিস্থিতি খারাপ জানিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনীতে ঘিরে জম্মু ও কাশ্মীর ক্রিকেট দলের মেন্টর ইরফান পাঠানকে ভূস্বর্গ থেকে ফেরত পাঠানো হয়। এর পর থেকে স্মৃতি রোমন্থন করছেন পাঠান। কাশ্মীরের কোনও বাগানে দাঁড়িয়ে তোলা নিজের ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ইরফান লিখেছেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।’ পরে টুইটারে তিনি লেখেন, ‘আমার মন কাশ্মীরের সব ভাই-বোন ও ভারতীয় সেনাদের দিকে ছুটে যেতে চাইছে।’
বস্তুত, পাঠান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কাশ্মীরের ক্রিকেট টিম যথেষ্ট পরিশ্রম করেছে। তারা চাইছে, ঘরোয়া মৌসুমে ভালো ফল করতে।